ফাইল চিত্র
বাজারের রকমারি নতুন জিনিসের হাতছানিতে পুরনো আসবাব বা বাতিল হয়ে যাওয়া সামগ্রী ঘরের কোণে অনাদরেই পড়ে থাকে। ক্রমে কিছুদিন পর সেগুলির স্থান হয় ডাস্টবিনে। অথচ জানেন কি, সামান্য সৃজনশীলতা আর একটুখানি ইচ্ছে থাকলে এই বাতিল জিনিসগুলিই হয়ে উঠতে পারে গৃহসজ্জার মধ্যমণি। বর্তমানে এই পদ্ধতিকেই পোশাকি ভাষায় বলা হয় ‘আপসাইক্লিং’। সোজা কথায়, পুরনো বা অব্যবহৃত জিনিসকে ফেলে না দিয়ে, তার গুণগত মান আরও বাড়িয়ে নতুন রূপে ব্যবহারযোগ্য করে তোলার শিল্পই হল আপসাইক্লিং। এতে যেমন অপচয় কমে, তেমনই সুস্থ থাকে পকেটও।
১. পুরনো শাড়িতে নতুন সাজ : বাঙালি মা ঠাকুমার আলমারিতে এমন অনেক পুরনো শাড়ি পাওয়া যায়, যা হয়তো আর পরা হয় না, কিন্তু তার নকশা বা রঙের মাদকতা আজও অমলিন। এই শাড়িগুলিকে ফেলে না দিয়ে সহজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন কুশন কভার, টেবিল কভার, জানলার পর্দা অথবা ওয়াল হ্যাংগিং।
২. কাচের বোতল বা কৌটর ভোলবদল : বাড়িতে পুরোনো আচার, জ্যাম অথবা সস্ জাতীয় পানীয়ের কাচের বোতল ফেলে না দিয়ে ফেব্রিক,অ্যাক্রিলিক রং অথবা রঙীন দড়ি জড়িয়ে করে ফেলুন ফুলদানি, মোমবাতি হোল্ডার, ইনডোর ট্রি পট।
৩. পুরনো বালতি বা টায়ার : পুরনো, অব্যবহৃত টায়ার বা ভাঙা বালতিও কিন্তু ফেলনা নয়।এই টায়ারগুলিকে ব্যবহার করা যেতে পারে গাছের টব হিসেবে। পছন্দসই রং করে বা দড়ি পেঁচিয়ে এর উপরে পেতে দিন কাঠের পাটাতন, তৈরি হয়ে যাবে বসার ছোট্ট টুল বা কফি টেবিল। একইভাবে, পুরনো বালতি রং করে বা কাপড় জড়িয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে লন্ড্রি বাস্কেট বা খেলনা রাখার পাত্র হিসেবে।
৪. কাঠের টুকরো প্রাণ পাবে : ভেঙে যাওয়া চেয়ারের পায়া, পুরনো কাঠের ক্রেট কিংবা অব্যবহৃত জানলার পাল্লা – সামান্য পরিশ্রমে এগুলিও হয়ে উঠতে পারে আকর্ষণীয়। কাঠের টুকরোগুলিকে জুড়ে বানিয়ে ফেলুন ওয়াল শেলফ, চাবির রিং রাখার হোল্ডার।