চায়ের সঙ্গে 'টা' হোক খাস্তা কচুরি
দীপাবলির সন্ধ্যা হল আলোর উৎসবের সময়, যখন সব বাড়িতে মোমবাতি আর রঙিন বাতির আলোয় ভরে ওঠে চারিদিক। এই সময়ে অতিথি-বন্ধুরা আসে চায়ের আড্ডায়- এই সময়ে চা আর খাস্তা কচুরি (Khasta Kachuri) না থাকলে কী চলে। খাস্তা কচুরির মচমচে ও নোনতা স্বাদ মিশে যায় দীপাবলির (Diwali Snacks) আনন্দের সঙ্গে।
দীপাবলির অতিথিপরায়ণে খাস্তা নোনতা কচুরির বিশেষ আকর্ষণ
দীপাবলি উৎসবটি আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধবদের একসঙ্গে হওয়ার সময়। সেই সময়ে গরম চা কিংবা কফির সঙ্গে যদি থাকে খাস্তা কচুরি থাকে, তাহলে অতিথিদের মুখে হাসি ফুটে উঠবেই। দীপাবলির সন্ধ্যায় ঠান্ডা হাওয়ার সঙ্গে ঘরে সাজানো আলোর মাঝে গরম গরম কচুরি পরিবেশন করলে অতিথিরা খুশি হন, এটি একটি সুন্দর অভিজ্ঞতা, বহু পরিবারের কাছে এটি আগত অতিথিদের আপ্যায়নের অপরিহার্য অংশ। কর্মব্যস্ত জীবনের ছোট বিরতিতে বা উৎসবের আড্ডায়- যে কোনও সময় পরিবার-বন্ধুদের সঙ্গে এটি ভাগ করে খাওয়াই আসল আনন্দ।
ঐতিহ্যবাহী কচুরি খাবারের সাধারণ পরিচয়
কচুরি ভারতের একটি অত্যন্ত পরিচিত খাবার। ময়দা বা আটা দিয়ে তৈরি, ছোট আকারের, গোল অথবা ডিম্বাকার এবং তেলে ভাজা- এটিই কচুরি। এর অনেক প্রকার আছে- মিষ্টি কচুরি, সবজি কচুরি, নোনতা কচুরি ইত্যাদি। তবে খাস্তা নোনতা কচুরি, তার মচমচে ও নোনতা স্বাদের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। ঐতিহ্যগতভাবে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ভিন্ন রেসিপি ও পরিবেশন রীতি দেখা যায়। বাংলায় ঘরে ঘরে খাস্তা কচুরি বিকেলের স্ন্যাক্সে ও অতিথি আপ্যায়নের জনপ্রিয় পদ। সাদা চায়ের কাপ কিংবা মশলাদার চায়ের সঙ্গে গরম গরম খাস্তা কচুরি পরিবেশন করা হলে এর স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে যায়।
খাস্তা নোনতা কচুরি তৈরি করা তুলনামূলকভাবে সহজ। নীচে ধাপে ধাপে রেসিপি দেওয়া হল- দীপাবলিতে অতিথি আপ্যায়নের কথা মাথায় রেখে যেভাবে প্রস্তুত ও পরিবেশন করলে সবচেয়ে ভাল হবে তা বিবেচনায় রেখে লেখা-
উপকরণ:
- ময়দা
- প্রয়োজনমত লবণ
- সামান্য চিনি
- রান্নার তেল বা ঘি
- জল
- স্বাদ বাড়াতে কালো জিরে বা জোয়ান
ডো তৈরি:
প্রথমে ময়দা, লবণ, চিনি (যদি ব্যবহার করা হয়) এবং কালো জিরে বা জোয়ান একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর এতে সামান্য তেল বা ঘি মেখে ভালো করে ময়ান (ময়দা মাখা) করতে হবে, যাতে কচুরি খাস্তা হয়। অল্প অল্প করে জল মিশিয়ে একটি শক্ত ও মসৃণ ডো তৈরি করুন। ডো প্রস্তুত হলে সেটি ২০–৩০ মিনিট ঢেকে বিশ্রাম দিতে দিন- এতে গ্লুটন স্থিত হয়ে ডো ভালভাবে সেট হবে এবং ভাজার সময় কচুরি আরও খাস্তা হবে।
ডো থেকে ছোট ছোট লেচি কেটে গোল বা ডিম্বাকার কচুরি বেলে নিন। খুব পাতলা না করে মাঝারি পুরু করে বেলা ভালো- এতে কচুরি ঠিকভাবে ফুলবে এবং খাস্তা হবে। দীপাবলির অতিথি-আপ্যায়নে দেখলে দেখতে সুন্দর করতে চাইলে আকার সামান্য সারিবদ্ধ করে বেলুন।
কড়াইতে পর্যাপ্ত পরিমাণে তেল গরম করে মাঝারি আঁচে কচুরিগুলো সোনালি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। গরম তেলে দেওয়ার পর কচুরিগুলো সাধারণত ফুলে ওঠে। উভয় পাশ ভালভাবে ভাজা হলে তেল ঝরিয়ে তুলে নিন। সঠিক ময়ম এবং মাঝারি আঁচে ভাজলে কচুরিগুলো চমৎকার খাস্তা হয় এবং দীর্ঘক্ষণ মচমচে থাকে। পরিবেশনে চাইলে ভাজার পর টিস্যু পেপারে রেখে অতিরিক্ত তেল শুষে নিতে পারেন; এতে অতিথিরা তৃপ্তি পাবে এবং কম তৈলাক্ত লাগে।
প্রেজেন্টেশন টিপস
- গরম গরম কচুরি একটি সুন্দর সার্ভিং প্লেট কিংবা কটন লিনেন দিয়ে ঢেকে গরম রাখুন।
- সাথে আলুর দম, ঘুগনি বা অন্য মৃদু তরকারি সাজিয়ে দিন- অতিথির স্বাদ অনুযায়ী।
- চায়ের সঙ্গে পরিবেশনের জন্য ছোট ছোট প্লেট ও ন্যাপকিন সাজিয়ে রাখুন।
- শিশুদের জন্য কচুরি ছোট আকারে পরিবেশন করলে খেতে সুবিধা হয়।