আধুনিক এই গয়না সোনা, রুপোকে হার মানাতে পারে
চওড়া জরি পাড় সঙ্গে পাথর, পুঁথির কাজ। আগে এই ধরনের ভারী শাড়ির চল ছিল। বর্তমানে সেই শাড়িই নাকি পুরনো হয়েছে। তার ফলে এখন আর আলমারি থেকে তা নামানো হয় না।দিনের পর দিন আলমারিতে থেকে তা নষ্ট। অন্য উপায়ে এই শাড়িগুলিকে কাজে লাগাতে পারেন। উৎসবের মরশুমে ওই শাড়িগুলির জরি পাড় দিয়ে তৈরি করতে পারেন হালফ্যাশনের গয়না।

নিশ্চয়ই ভাবছেন, কীভাবে এই শাড়ির পাড় দিয়ে গয়না তৈরি করতে পারেন। বাড়িতে থাকা মাপজোকের টেপ, কাঁচি, আঠা আর ইলাস্টিক ব্যান্ড দিয়ে গয়নাগাটি তৈরি করা সম্ভব।
প্রথমে আসি হারের কথা। পুরনো শাড়ি থেকে জমকালো জরি পাড় কেটে নিন। এই ধরনের জরি পাড় দিয়ে চোকার বানাতে পারেন। জরি পাড়ের উপর পাথর বসিয়ে নিতে পারেন। তাতে হার আরও জমকালো হবে।কিংবা নিচের দিকে সরু সরু জরি লম্বা করে লাগাতে পারেন। সঙ্গে ইলাস্টিক ব্যান্ড জুড়ে দিন। তাতেই তৈরি হবে সুন্দর হার। পুজোয় মানানসই শাড়ির সঙ্গে পরুন হার। এই সাজে আপনার দিকে কেউ নজর ফেরাতে পারবেন না।

কাপড়ে জরির পাড় কিংবা সুতির কাপড় দিয়ে হাতের বালা কিংবা চুড়ি তৈরি করতে পারেন। কীভাবে করবেন? প্রথমে আপনার হাতের মাপের চুড়ি নিন। এবার সেই চুড়ির উপর আঠা লাগিয়ে পুরনো খবরের কাগজ জড়িয়ে নিতে পারেন। কিংবা তাতে শাড়ির জরি পাড়, পুরনো সুতির শাড়ি জড়িয়ে নিন। অন্য ধরনের হাতের বালা কিংবা চুড়ি সকলের মন জয় করবে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।গয়নাগাটি ছাড়া পুজো জমে না।

একসময় উৎসবের দিনগুলিতে সোনার গয়না পরার চল ছিল। বর্তমানে অবশ্য সে জায়গা অনেকটাই দখল করে নিয়েছে রুপো। হালফ্যাশনে এই গয়না এখন বহু তন্বীর মন জয় করেছে।