নবরাত্রিতে ঘরেও করতে হবে এই সব কাজ
নবরাত্রি দেবী দুর্গার আরাধনার বিশেষ সময়। এ নয়দিনে শুধু ব্রত পালন করলেই হল না। বরং ঘর-গৃহস্থালী ও জীবনযাত্রায় কিছু নিয়ম পালন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। বাস্তুশাস্ত্র মতে, সঠিক নিয়ম মেনে চললে ঘরে ইতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি পায়, অশুভ শক্তি দূর হয়। জীবনে সমৃদ্ধি, শান্তি ও সৌভাগ্য আসে।
১. ঘর পরিষ্কার ও পবিত্র রাখা – বাস্তুশাস্ত্র বলে, নবরাত্রির শুরুতে ঘর ভালোভাবে পরিষ্কার করা উচিত। ময়লা-আবর্জনা বা ভাঙা জিনিসপত্র ঘরে নেতিবাচক শক্তি আনে। তাই ঘরদোর ঝকঝকে রাখলে শুভশক্তির আবাহন ঘটে। বিশেষত পূজার ঘর বা স্থান প্রতিদিন স্নান শেষে ধূপ-দীপ দিয়ে পবিত্র করা প্রয়োজন।
২. ঘরে কলশ স্থাপন ও ঘট পূজা – নবরাত্রির প্রথম দিনে কলশ স্থাপন অত্যন্ত শুভ। কলশটি পূজার ঘরের উত্তর-পূর্ব কোণে রাখা শ্রেয়। কলশ স্থাপন মানে হলো শক্তি, সমৃদ্ধি ও দেবী শক্তির আবাহন। কলশের পাশে শুদ্ধ চাল রেখে দেবীর প্রতিমা বা ছবি স্থাপন করতে হয়।
৩. আলোর ব্যবস্থা ও প্রদীপ – বাস্তুশাস্ত্র মতে, অন্ধকার ঘরে অশুভ শক্তির প্রভাব বেশি থাকে। তাই নবরাত্রির সময় প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বালানো অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে পূজার ঘরে ঘৃত বা তিলের তেলের প্রদীপ জ্বালালে ইতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি পায়।
৪. রঙের প্রভাব মানা – নবরাত্রির প্রতিটি দিন ভিন্ন ভিন্ন রঙের সঙ্গে যুক্ত। বাস্তুশাস্ত্র মতে, দেবীর উপাসনায় সেই রঙ ব্যবহার করলে শুভফল পাওয়া যায়। যেমন—প্রথম দিনে সাদা, দ্বিতীয় দিনে লাল, তৃতীয় দিনে নীল ইত্যাদি। পূজার আসন, ফুল কিংবা পোশাকে এই রঙগুলোর ব্যবহার বিশেষভাবে শুভ।
৫. খাদ্যাভ্যাসে সাত্ত্বিকতা বজায় রাখুন – বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, নবরাত্রির সময় নিরামিষ ও সাত্ত্বিক আহার গ্রহণ করা উচিত। মাংস, মদ, পেঁয়াজ-রসুন এড়িয়ে চললে ঘরে পবিত্রতা বজায় থাকে এবং দেবীর কৃপা লাভ হয়। এছাড়া এই সময়ে সেন্ধা লবণ, ফল, দুধ ও শাকসবজি খাওয়া শ্রেয়।
৬. কালো রঙ ও নেতিবাচক কাজ এড়িয়ে চলা – কালো রঙকে নবরাত্রিতে অশুভ মনে করা হয়। তাই এই সময়ে কালো পোশাক ব্যবহার না করাই ভালো। পাশাপাশি ঝগড়া-বিবাদ, মিথ্যা বলা বা অন্যের ক্ষতি করা থেকেও বিরত থাকতে হবে। এসব নেতিবাচক কাজ ঘরে অশুভ শক্তি ডেকে আনে।