সুপারফুড বলে মুঠো মুঠো মাখানা খাচ্ছেন
একসময় মাখানা (Makhana) কেবলমাত্র পুজো পার্বণ বা উপবাসের দিনেই খাওয়া হত। বর্তমানে ছবিটা বদলে গিয়েছে। সেটি পৌঁছে গিয়েছে জিম-প্রেমী থেকে স্বাস্থ্যসচেতন সকলের ডাইনিং টেবিলে। ‘ফক্স নাটস’ বা ‘লোটাস সিড’ নামে পরিচিত এই খাবারকে বলা হয় সুপারফুড। কারণ এর মধ্যে রয়েছে কম ক্যালোরি, প্রচুর ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও খনিজ পদার্থ। কিন্তু স্বাস্থ্যগুণের পাশাপাশি মাখানার রয়েছে কিছু ক্ষতিকর প্রভাবও। চিকিৎসকেরা বলছেন, সবার জন্য সমান উপকারী নয় এই বাদামজাতীয় খাবার।
কারা সাবধান থাকবেন মাখানা থেকে?
১. কিডনি রোগী
মাখানায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। যাদের কিডনির সমস্যা আছে, তাদের শরীর অতিরিক্ত পটাশিয়াম সঠিকভাবে বের হয় না। ফলে হার্টবিট অনিয়মিত হয়, দুর্বল লাগে, এমনকি অন্য নানা জটিল সমস্যা তৈরি হতে পারে।
২. ডায়াবেটিস রোগী
যদিও মাখানাকে লো-গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খাবার বলা হয়, কিন্তু বেশি পরিমাণে খেলে রক্তে শর্করার তারতম্য দেখা দিতে পারে। তাই ডায়াবেটিক রোগীদের এটি সীমিত মাত্রায় খাওয়াই ভালো।
৩. হজমে সমস্যা যাদের
মাখানার ফাইবার অনেকের জন্য আশীর্বাদ হলেও, অতিরিক্ত খেলে পেট ফাঁপা, গ্যাস ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়তে পারে। যাদের হজমশক্তি দুর্বল, তারা বেশি পরিমাণে খেলে বিপাকে পড়তে পারেন।
৪. অ্যালার্জি প্রবণ ব্যক্তি
কিছু মানুষের দেহ বাদামজাতীয় খাবারের মতো মাখানার প্রতিও অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। চুলকানি, গায়ে ফুসকুড়ি, বা শ্বাসকষ্ট হলে অবিলম্বে খাওয়া বন্ধ করতে হবে।
৫. ওজন নিয়ন্ত্রণ করার যারা চেষ্টা করছেন
মাখানা ভাজা হলে তাতে ঘি, তেল বা মশলা মেশানো হয়। এতে বাড়তি ফ্যাট ও ক্যালোরি ওজন বাড়ানোর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
মাখানা নিঃসন্দেহে একটি পুষ্টিকর খাবার, তবে সব খাবারের মতোই এর রয়েছে কিছু সীমাবদ্ধতা। তাই কারও স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে নিয়মিত মাখানা খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। মনে রাখবেন, সুপারফুড মানেই সবার জন্য সমান ভাল খাবার নয়।