হাসিনা কতদিন ভারতে থাকতে পারবেন, স্পষ্ট করে জানালেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর |
বিয়ে বলে কথা, নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে অধিবেশনেই থাকতে পারলেন না ১৪ জন বিধায়ক
শেষ দিনে প্রশ্নোত্তর পর্বের জন্য প্রস্তুত ছিলেন মন্ত্রীরা
মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার (Madhya Pradesh) শীতকালীন অধিবেশন শেষ হল এমন এক দৃশ্যের মধ্যে দিয়ে, যা সহজেই রাজনৈতিক কৌতুকের খাতায় ঠাঁই পেতে পারে। নির্ধারিত তারিখ পর্যন্ত চলার কথা থাকলেও শেষ দিনের প্রশ্নোত্তর পর্ব কার্যত ভেস্তে গেল একটাই কারণে— বিয়ের মরসুম (Wedding Season)।
শেষ দিনে প্রশ্নোত্তর পর্বের জন্য প্রস্তুত ছিলেন মন্ত্রীরা, হাতে ছিল উত্তর। কিন্তু যাঁরা প্রশ্ন করেছিলেন, সেই ১৪ জন বিধায়কই অধিবেশনে হাজির হলেন না। অনুপস্থিতদের তালিকায় বিজেপি (BJP), কংগ্রেস (Congress) থেকে শুরু করে ভারত আদিবাসী পার্টির একমাত্র বিধায়কও।
স্পিকার নরেন্দ্র সিং তোমর যখন একে একে অনুপস্থিত বিধায়কদের নাম ডাকছিলেন, তখন বিরোধী বেঞ্চ কার্যত ফাঁকা। উত্তরে কোনও আওয়াজই আসেনি।
হালকা হাসি চেপে রেখে বিধি ও আইনমন্ত্রী কৈলাশ বিজয়বর্গীয় স্পিকারকে বলেন, “সভাধ্যক্ষ মহাশয়, ভবিষ্যতে অধিবেশনের তারিখ ঠিক করার সময় বিয়ের শুভদিনটাও দেখে নিতে হবে। আজ অনেক বিধায়কের পরিবারের বিয়ে রয়েছে। চেষ্টা করব যাতে আগামী বছর থেকে অধিবেশনের তারিখ আর বিয়ের দিন একসঙ্গে না পড়ে।”
প্রশ্নোত্তর পর্বের প্রশ্ন নম্বর ১৪ থেকে ১৮, ২০ থেকে ২৫— সবই বিরোধী বিধায়কদের। কেউই উপস্থিত না থাকায় প্রশ্নগুলি গৃহীতই হয়নি। প্রশ্ন নম্বর ২, ৭, ১১— এসবের বিধায়কও ছিলেন অনুপস্থিত। ফলে প্রায় দু' দশকের মধ্যে এই প্রথম—প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষ হওয়ার পাঁচ মিনিট আগেই সভায় করার মতো কোনও কাজ অবশিষ্ট রইল না। একেই বলে বিরোধী ঐক্য, কিন্তু ময়দানে নয়, বিয়েবাড়িতে।
ঘটনার পর বাইরে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। সমালোচকদের বক্তব্য, গণতন্ত্রে প্রশ্নোত্তর পর্বই সরকারের জবাবদিহির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। সেখানে বিধায়কদের বিয়েবাড়ির নিমন্ত্রণ রক্ষা করতেই বেশি আগ্রহ, দায়িত্ব পালনে নয়।