বাংলায় SIR ঘোষণা হতেই বললেন শুভেন্দু
সোমবার পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) সহ ১২টি রাজ্যে এসআইআর (SIR) ঘোষণা করে দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ECI)। এই সময়ের মধ্যেই নতুন ভোটারদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা, মৃত বা স্থানান্তরিত ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া এবং নাম, ঠিকানা, বয়স, লিঙ্গ ইত্যাদি তথ্যের সংশোধন করা যাবে। গোটা বিষয়টি নিয়ে স্বভাবতই খুব খুশি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি মনে করেন, এমনটাই হওয়া উচিত।
এসআইআর নিয়ে অন্যান্য রাজ্যে যত না উত্তেজনা তার থেকেও বেশি উত্তেজনা বাংলায় (West Bengal)। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) প্রথম থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছে। খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) অভিযোগ করেন, কেন্দ্র আর নির্বাচন কমিশন মিলে ভোটার তালিকা থেকে বিজেপি বিরোধী ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। যদিও কমিশন এই অভিযোগ পত্রপাট খারিজ করে রাজ্য সরকারকে সংবিধানের কথা মনে করিয়েছে।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শুরু থেকেই 'ভুয়ো ভোটার' ইস্যুতে সরব। বারবার বলে এসেছেন, এসআইআর হলে অন্তত ১ কোটি ভুয়ো ভোটার বাংলা থেকে বাদ যাবে। এরা আর কেউ নন, রোহিঙ্গা (Rohingya) বা বাংলাদেশি মুসলিম (Bangladeshi)। সোমবার এসআইআর ঘোষণা হওয়ার পর তিনি বলেন, ''ডবল এন্ট্রি, ত্রিপল এন্ট্রির ভোটার, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নাম বাদ যাবে। এতো ভাল কথা। ভুয়ো ভোটার বাদ যাবে, পরিচ্ছন্ন ভোটার তালিকাই নির্বাচনের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হওয়া উচিত।''
এদিকে এই ইস্যুতে কংগ্রেসের অভিযোগ, জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ECI) এবং কেন্দ্রের মধ্যে আঁতাত হয়েছে এবং 'ভোট চুরি'র খেলা চলছে। এবার ১২ রাজ্যে তা শুরু হবে! তাঁদের দাবি, ১২টি রাজ্যে ভোটার তালিকা থেকে বিপুলসংখ্যক নাম বাদ দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে।
তৃণমূল মুখপাত্রের অভিযোগ, বিজেপি পরিকল্পিতভাবে বাংলার ভোটার তালিকা নিয়ে কারচুপি করার চেষ্টা করছে। কুণালের দাবি, “কয়েক মাস আগেই অন্য রাজ্যের ভুয়ো ভোটারদের নাম কপি পেস্ট করে বাংলার তালিকায় ঢোকানোর অপচেষ্টা হয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিবাদের জোরেই তা বন্ধ হয়েছে।” তাঁর আরও বক্তব্য, “বিজেপি নেতারা বলছে, এসআইআরে নাম বাদ গেলে ক্যাম্প করে সিএএ-তে ঢোকাব। এরা এমন কথা বলে কী করে! কেন নাম বাদ যাবে?”
এদিকে গোটা বঙ্গবাসী জাতীয় নির্বাচন কমিশনের আজকের বৈঠকের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। কবে এসআইআর শুরু হবে তার তারিখ জানার পরপরই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে ঢুঁ মেরেছেন অনেকেই। তাই ওয়েবসাইট ক্র্যাশ করে গেছে।