নবান্ন অভিযানে দলেই কোণঠাসা বিরোধী দলনেতা!
মেয়ের মৃত্যুর একবছর পর সুবিচারের দাবিতে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল আর জি করে নির্যাতিতার পরিবার। শনিবার, সেই প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করে অসুস্থ হয়ে পড়লেন অভয়ার মা। অভিযোগ, পার্ক স্ট্রিটে প্রতিবাদীদের আন্দোলন দমনের নামে পুলিশের লাঠির আঘাত লেগেছে তাঁর মাথায়। হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে তাঁকে। অভয়ার মায়ের এই আহত হওয়ার নেপথ্যে অবশ্য শুধুমাত্র পুলিশকে নয়, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে দায়ী করলেন অভয়া মঞ্চের সদস্যরা। তাঁদের যুক্তি একটাই, দায়িত্ব নিয়ে অভয়ার মা-বাবাকে আন্দোলনে নিয়ে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। তাই তাঁদের সুরক্ষার ভার ছিল তাঁরও।
আজ অর্থাৎ ৯ আগস্ট অভয়া পরিবারের ডাকা নবান্ন অভিযান যে বকলমে বিজেপির দখলে যেতে বসেছে, তা স্পষ্ট হয়েছিল আগেই। যদিও রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য রাজনৈতিক পতাকা সরিয়ে রেখে এই অভিযানে শামিল হওয়ার জন্য সকলের কাছে আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু শনিবার অভয়ার বিচারের দাবিতে শহরজুড়ে বিভিন্ন জমায়েতের কোথাও তাঁকে দেখা যায়নি। দেখা যায়নি প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষদেরও। অন্যদিকে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী গুটিকয়েক অনুগামী নিয়ে পার্ক স্ট্রিটের জমায়েতে রীতিমতো নেতৃত্ব দিয়েছেন। জড়িয়েছে পুলিশের সঙ্গে ঝামেলায়। এ থেকেই স্পষ্ট, অন্তত অভয়ার বিচারের দাবি নিয়ে দলের মধ্যে একাই শুভেন্দু।
মঞ্চের অন্যতম সদস্য তমোনাশ চৌধুরীর দাবি করেছেন, তাঁরাও অভয়ার মা-বাবাকে নিয়ে গত একবছরে বহু অভিযানে শামিল হয়েছেন। কিন্তু কখনও কোনও অঘটন ঘটেনি। এবার বিজেপি সেই অভিযানে শামিল হয়েছে। তাই যা ঘটেছে, তাতে বিজেপি নেতাদেরও দায় রয়েছে। আর যেহেতু এদিন ঘটনাস্থলে শুভেন্দু অধিকারী ছাড়া আর শীর্ষস্থানীয় বিজেপি নেতা ছিলেন না, তাই তাঁদের আঙুল যে বিরোধী দলনেতার দিকেই, তাও স্পষ্ট। অনেকের কটাক্ষ, আন্দোলনের নামে আসলে প্রচারের আলো কেড়ে নেওয়া লক্ষ্য ছিল শুভেন্দুদের। কিন্তু তা ব্যুমেরাং হয়ে এল। দলের অন্দরে একা আর বাইরে তুমুল সমালোচিত হতে হল বিরোধী দলনেতাকে।