৭ বছর পর বৈশাখীকে নিয়ে তৃণমূলে শোভন
২০১৯-এর ১৮ অগস্ট। দিল্লিতে বিজেপির দফতরে গিয়ে পতাকা তুলে নিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। সেদিন প্রাক্তন মেয়রের সঙ্গে ছিলেন বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্য়োপাধ্যায়। মাঝে সক্রিয় রাজনীতি থেকে প্রায় সরে গিয়েছিলেন শোভন। ৭ বছর পর সেই বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়েই তৃণমূলে ফিরছেন তিনি। নির্বাচনের প্রায় ৬ মাস আগে কাননের এই প্রত্যাবর্তন যে তাৎপর্যপূর্ণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
যোগদানের পর সাংবাদিক বৈঠকে শোভন বলেন, “এটা আমার নিজের ঘর। নিজের সংসার। ঘরের ছেলে হিসেবে পুনরায় সামিল হলাম। আগামিদিনে তৃণমূল কংগ্রেসকে শক্তিশালী করতে চাই। বক্সীদা আমার ভাই। অপরূপ আমার দীর্ঘদিনের বন্ধু। আমার কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নেই। কোনও দায়িত্ব ত্রুটি রাখব না। আমার ঘরকে আরও মজবুত করে তুলব।”
‘ঘরের ছেলে ঘরে ফিরল’
শোভন-বৈশাখীর আনুষ্ঠানিক যোগদানে উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী ও রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। অরূপ বিশ্বাস বলেন, “ঘরের ছেলে আজ ঘরে ফিরছে। আজ থেকেই তাঁরা কাজ শুরু করবেন।” সুব্রত বক্সী বলেন, “মমতার নির্দেশ অনুযায়ী প্রাক্তন মেয়র তথা প্রাক্তন মন্ত্রী দলে যোগ দিচ্ছেন।” বৈশাখীকেও স্বাগত জানান তিনি। একই সঙ্গে অরূপ বিশ্বাস জানান, সোমবার দলে যোগ দেওয়ার পরই দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি।
৭ বছর পর প্রত্যাবর্তন
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনের একেবারে শুরুর দিকের সঙ্গীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। দলের ও প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদও সামলেছেন তিনি। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে দীর্ঘ সময় মেয়র হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। ২০১৮ সালে আচমকা সেই পদে ইস্তফা দেন। মন্ত্রিসভাতেও ইস্তফা দেন পরে। তারপরই তৃণমূলের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন হয়।
২০১৯-এ মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন শোভন। তারপর বিজেপির সঙ্গেও ক্রমে দূরত্ব বাড়ে। তবে বছর বছর মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ভাইফোঁটা নিতে যেতেন তিনি। সম্প্রতি এনকেডিএ-র চেয়ারম্যান পদ পান তিনি।