মোদীর সঙ্গে ‘চায়ে পে চর্চা’য় প্রিয়ঙ্কা
কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গড়করির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পরদিনই আজ, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ‘চায়ে পে চর্চা’ হল কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর। এদিন নিজের সংসদীয় কেন্দ্র কেরলের ওয়ানাড় নিয়ে প্রিয়ঙ্কা আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে। ওই বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনায় হাজির ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা, ক্যাবিনেট মন্ত্রী কে রামমোহন নাইডু ও চিরাগ পাসোয়ান।
এদিনই সংসদের শীত অধিবেশন শেষ হওয়ায় স্পিকার তাঁর ঘরে সব নেতানেত্রীকে ডেকেছিলেন। সেখানে প্রিয়ঙ্কাকে দেখা গেল, ঠিক রাজনাথের পাশেই বসে থাকতে। তাঁর হাতে ছিল চায়ের কাপ। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথাবার্তার সময় দুজনকেই প্রাণ খুলে হাসতেও দেখা গিয়েছে।
সংসদে শুধু শাসক-বিরোধী দলের তক্কাতক্কিই হয় না, সভার বাইরে সৌজন্য বিনিময়, ঠাট্টা-রসিকতাও হয়, যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই থেকে যায় আড়ালেই। যেমনটা ঘটেছিল বৃহস্পতিবার। লোকসভার কাজের ফাঁকে কেরলের ওয়ানাড়ের সাংসদ সটান চলে যান কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও হাইওয়ে মন্ত্রী নীতিন গড়করির ঘরে। সেখানে কাজের কথার অবসরে চলে হাসিমজার কথা ও সামান্য অতিথিসেবাও। বয়সে অনেক প্রবীণ বিজেপি নেতার মুখোমুখি বসে মজা ও খাবারের ভাগীদার হন গান্ধী পরিবারের তনয়াও।
কেরলে প্রিয়ঙ্কার সংসদীয় কেন্দ্রের এলাকায় ৬টি রাস্তার প্রকল্প ও তার কাজ দ্রুত করার দাবি নিয়ে এদিন তিনি খোদ চলে যান মন্ত্রীর ঘরে। ঘরটি সংসদের ভিতরেই মন্ত্রীর অফিস। এর জবাবে গড়করি প্রিয়াঙ্কাকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, ৬টি রাস্তার মধ্যে কয়েকটি কেরল সরকারের অধীন। ফলে তা নিয়ে কেন্দ্রের কিছু করার ক্ষমতা নেই। কিন্তু, বাকিগুলি তিনি দেখবেন বলে কথা দেন কংগ্রেস নেত্রীকে।
সামান্য আলোচনার ফাঁকেই নীতিন বলেন, লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা প্রিয়ঙ্কার দাদা রাহুল গান্ধীও কয়েকদিন আগে তাঁর কাছে এসেছিলেন। তিনিও তাঁর কেন্দ্র রায়বরেলির রাস্তা নিয়ে সমস্যা মেটানোর বিষয়ে কথা বলেন মন্ত্রীর সঙ্গে। নীতিন প্রিয়ঙ্কাকে ঠাট্টাচ্ছলে বলেন, ‘ভাই কা কাম কর দিয়া, বহেন কা নেহি করুঙ্গা তো আপ বোলেঙ্গে কি নেহি কিয়া’। এই শুনে প্রিয়ঙ্কা সহ ঘরে উপস্থিত আর পাঁচজনে হেসে ওঠেন।