গ্রাফিক্স একপ্রেস নিউজ
ঝাড়গ্রাম শহরের অরণ্যসুন্দরী রূপ আজ ধ্বংসের মুখে। শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের স্কাউট মাঠ ও সংলগ্ন বন দফতরের জমিতে গাছ কেটে একের পর এক পাকা বাড়ি গজিয়ে উঠছে। অভিযোগ, এই জমিগুলি সরকারি হলেও জমি মাফিয়ারা ওই জমির চরিত্র পরিবর্তন করে প্লট বানিয়ে মোটা টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে চলেছে। আর এই কাজে মাফিয়াদের মদত দিচ্ছে স্থানীয় শাসক দলের একাংশ নেতা—এমনটাই দাবি করেছেন এলাকার সাধারণ মানুষ এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দিনের পর দিন গাছ কেটে বনভূমির পরিবেশ নষ্ট করেছে কিছু অসাধু ব্যক্তি। বেআইনিভাবে দখল করে নেওয়া হচ্ছে সরকারি জমি। স্থানীয়দের তরফ থেকে প্রশাসনকে বারবার জানানো হলেও কোনও দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না বলে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে তারা। অন্যদিকে, যারা এই জমি কিনেছেন, তাঁদের দাবি—তারা স্থানীয় কিছু ব্যক্তির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এই জমি পেয়েছেন। যদিও তাদের অধিকাংশেরই সঠিক জমির কাগজপত্র নেই। প্রশ্ন উঠছে, কাগজ ছাড়াই কীভাবে এমন জমি কেনাবেচা সম্ভব? এ নিয়ে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্নচিহ্ন।
ঝাড়গ্রাম শহরের বহু মানুষ মনে করছেন, এইভাবে চলতে থাকলে অরণ্যসুন্দরী ঝাড়গ্রাম তার প্রাকৃতিক রূপ হারাবে। তাঁরা জানতে চাইছেন—কবে ফিরবে ঝাড়গ্রামের হারিয়ে যাওয়া পরিবেশ? প্রশাসন কি এবার সক্রিয় হবে? তবে এ বিষয়ে ঝাড়গ্রামের বিধায়িক তথা বনমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা দাবি করেন, ফরেস্টের জায়গায় কোনো গাছ কাটা হয়েছে বলে এখনও পর্যন্ত কোনো খবর নেই। তবে এই বিষয়টি খতিয়ে দেখের আশ্বাস দিয়েছেন বনমন্ত্রী।