ভোটের জন্য মোদীকে নাচতে বলুন
প্রায় দুমাসের গরহাজিরার পর বুধবার বিহার ভোটের প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, ভোটের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদী সবকিছু করতে পারেন। আপনারা যদি নরেন্দ্র মোদীকে ভোট দেওয়ার শর্তে নাচতে বলেন, উনি মঞ্চে নেচেও দেখাবেন। এদিন মুজফফরপুরে রাষ্ট্রীয় জনতা দলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদবের সঙ্গে যৌথ সভায় মোদী ও বিজেপিকে এক তিরে নিশানা করেন কংগ্রেস সাংসদ।
আগামী ৬ নভেম্বর প্রথম দফার ভোটের মাত্র সপ্তাহখানেক আগে রাহুল নীতীশ কুমারকে বিজেপির হাতের কাঠপুতুল মুখ্যমন্ত্রী বলে তোপ দাগেন। বিহারের অন্যতম পুজো তথা মহোৎসব ছট পুজোকে রাজনীতির অস্ত্র করে বলেন, এই দুদিন আগেই ছট পুজো উপলক্ষে বিজেপি দ্বিচারিতা সাধারণ মানুষ দেখেছে। একদিকে দূষিত যমুনার জলে ভক্তদের পুজো দিতে হয়েছে। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী ডুব দিয়েছেন বিশেষভাবে তৈরি করা একটি পুকুরে।
নরেন্দ্র মোদী আপনাদের চোখে ধুলো দিতে নিজস্ব সুইমিং পুলে স্নান করেছেন। যমুনার সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। ছট পুজোর সঙ্গে তাঁর কোনও মনের যোগ নেই। উনি শুধু আপনাদের ভোট চান, বলেন রাহুল। নীতীশ কুমারকে তোপ দেগে বলেন, উনি বিহারের পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য কিছুই করেননি। কেবলমাত্র একেতাকে ধরে ২০ বছর যাবৎ সিংহাসন আঁকড়ে ধরে থাকা ছাড়া। বিজেপি আসলে রাজ্যের ক্ষমতা ধরে রাখতে জেডিইউ সুপ্রিমোর ভাবমূর্তিকে অপব্যবহার করে চলেছে।
দেশের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, নীতীশজির মুখকে তুলে ধরে রাজ্য শাসনের চাবিকাঠি বিজেপি হাতে রেখেছে। আর সে কারণেই সমাজের পিছিয়ে থাকা শ্রেণির মানুষের কোনও উপকারে আসেনি এই সরকার। ফের ভোট চুরির অভিযোগ সামনে এনে রাহুল বলেন, বিহারেও ওই একই চেষ্টা হতে পারে। ওরা ভোট চুরি করতে ব্যস্ত রয়েছে। ওরা মহারাষ্ট্র, হরিয়ানায় ভোট চুরি করেছে। এবার বিহারেও সেই চেষ্টা করবে। ওরা আবার চেষ্টা করবে যে, বিহারেও মানুষের রায় যাতে প্রতিফলিত হতে না পারে। বিহারের মানুষের ইচ্ছামতো সরকার গড়ে না উঠতে পারে। কিন্তু আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, এখানে প্রতিটি শ্রেণি, প্রতিটি জাতি, প্রতিটি ধর্মের জন্য সরকার গড়ে উঠবে।