শুভেন্দুকে ৭ দিনের ‘আল্টিমেটাম’ সুবোধের
রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতাকে সাতদিনের ‘আল্টিমেটাম’। আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি তৃণমূল বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর। তাঁর সাফ কথা, ক্ষমা না চাইলে তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে দ্বারস্থ হব। কিন্তু হঠাৎ কেন চটে গেলেন তিনি? শুভেন্দুর ‘রক্ষাকবচ’ সরতেই ‘এফআইআর’ অস্ত্রে শান দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল শাসকশিবির? নাকি ভোটব্যাঙ্কের ঘাটতি মেটাতে বিধায়কের কাছে শুভেন্দু হয়ে উঠলেন ‘সফ্ট টার্গেট’? সেই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ তুলেছেন বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুবোধ অধিকারী। অভিযোগ, হিন্দিভাষীদের অপমান করারও। তাঁর দাবি, গত ২৩শে অক্টোবর গারুলিয়ার মঞ্চ থেকে আমার মাকে অপমান করেছেন শুভেন্দু। এদিন তৃণমূল বিধায়ক বলেন, ‘শুভেন্দু বলছেন, আমি হিন্দিভাষীদের বিদ্রুপ করি, তাঁদের উচ্ছেদ করার চেষ্টা করছি। ওনার কাছে কোনও সাক্ষ্যপ্রমাণ থাকলে তা দেখাক। আর সর্বোপরি আমার মা বিহারের মানুষ। উনি এসব বলে আমার মাকে অপমান করেছেন। এর জন্য ওনাকে ক্ষমা চাইতে হবে। সাত দিন সময় দিলাম। না হলে আমি ওনার বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করব।’
শুভেন্দু অধিকারীরকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য় ‘ডেডলাইন’ বেঁধে দিলেন তৃণমূল বিধায়ক। তাঁর হুঁশিয়ারির জবাব দিলেন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অধুনা বিজেপি নেতা অর্জুন সিং। টিকিট পাওয়া নিয়ে অস্বস্তি তৈরি হওয়ায় এই সকল কথা বলছেন সুবোধ, দাবি অর্জুনের। এদিন তিনি বলেন, ‘বাজারে খবর রয়েছে, উনি আসন্ন নির্বাচনে আর টিকিট পাবেন না। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কাছে নিজের দর বাড়াতে এই সব কথা বলছেন। কারণ শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে যিনি লড়বেন, তাঁরই দর বাড়বে।’
মানহানি প্রসঙ্গে অর্জুনের সংযোজন, ‘ওর আবার মান সম্মান আছে নাকি। রেলের পুকুর বিক্রি করেছে, জমি বিক্রি করেছে। আর শুভেন্দু অধিকারী এমন কোনও মন্তব্য করেনি, যাতে হিন্দিভাষীদের অপমান হয়। উল্টে উনি গোটা ভাষণটাই হিন্দিতে দিয়েছেন। আর তৃণমূল হিন্দিভাষী নিয়ে কী বলছে, ওদের তো গর্গ চট্টোপাধ্য়ায় রয়েছেন। উনি একাই হিন্দি ভোটারদের বিজেপির দিকে দায়িত্ব নিয়ে ঠেলে দিচ্ছেন।