নাগরাকাটা কাণ্ডের প্রতিবাদে মিছিল বিজেপির,
উত্তরবঙ্গে বন্যা (North Bengal Flood) কবলিতদের ত্রাণ দিতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছিলেন বিজেপির সাংসদ খগেন মুর্মু (Khagen Murmu) এবং বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ (Shankar Ghosh)। সেই ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে শাসকদলকে চাপ দিতে বুধবার পথে নেমেছিল বিজেপি। এদিন কলেজ স্কোয়ার থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করে তারা, যেখানে দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতারা অংশ নেন।
মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা ও সুকান্ত মজুমদার, লকেট চট্টোপাধ্যায়সহ অনেকে। মিছিলে জনজাতি মোর্চার কর্মীদেরও দেখা যায়। অনেকের হাতে দেখা যায় জনজাতি ঐতিহ্যবাহী অস্ত্র। দলের রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য এই সময় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় মিছিলে উপস্থিত ছিলেন না।
বিজেপি নেতারা অভিযোগ করেছেন, নাগরাকাটায় (Nagrakata) খগেন মুর্মু এবং শঙ্কর ঘোষের উপর হওয়া হামলার ঘটনার সঠিক তদন্ত হচ্ছে না। কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হলেও প্রকৃত দোষীরা এখনও বাইরে। হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, তাদের দ্রুত গ্রেফতার না করা হলে সরকারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder) বলেন, পুলিশকে এক মাস সময় দেওয়া হয়েছে, ওই সময়ের মধ্যে যারা দায়ী তাদের ধরতে হবে, নয়তো বিজেপি নিজ উদ্যোগে 'ট্রিটমেন্ট' করবে।
শুভেন্দু অধিকারী মিছিল শেষে বলেন, “গত কয়েক মাসে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আমাদের কর্মীরা ওপর হামলার শিকার হয়েছেন। এই সরকার জনজাতি-বিরোধী নীতি বাস্তবায়ন করছে। মিছিল শেষ মানে আন্দোলন শেষ নয় — আমরা বদলের ডাক দেব।” তিনি কটাক্ষ করে যোগ করেন, কালীপুজোর পর জনজাতি সংগঠনগুলিকে রাস্তায় নামার আহ্বান জানানো হবে।
এই মিছিলে ভোটার তালিকা, এসআইআর এবং অনুপ্রবেশ ইস্যুতেও বক্তব্য রাখেন নেতা-কর্মীরা। সুকান্ত বলেন, বৈধ ভোটারদের তালিকা সুরক্ষিত রাখতে হবে, অনুপ্রবেশকারীদের নাম ভোটার তালিকায় রাখার কোনো সুযোগ থাকা উচিত নয়।
পাশাপাশি মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা নারী নির্যাতন ও রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে নিয়েও শাসকদলের প্রতি তীব্র নিন্দা জানান এবং দ্রুত এবং স্বচ্ছ তদন্ত দাবি করেন।
গত ৬ অক্টোবর উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে জলপাইগুড়ির নাগরাকাটা এলাকায় বিক্ষোভের মুখে পড়েন দুই বিজেপি নেতা (BJP Leaders)। অভিযোগ, একদল মানুষ লাঠি ও জুতো নিয়ে তাদের ওপর চড়াও হন। নদী থেকে পাথর তুলে তাঁদের গাড়ির দিকে ছোড়া হয়। খগেনের মুখে আঘাত লাগে, বাঁ চোখের তলা থেকে রক্ত ঝরে। শঙ্করের হাতেও চোট লাগে। পরে দু’জনকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।