‘ছুটি কাটাতে গিয়েছেন বিরোধী নেতা’, রাহুলকে ‘পার্টি করা নেতা’ বলে ব্যঙ্গ করল বিজেপি
‘ছুটি কাটাতে গিয়েছেন বিরোধী নেতা
বিহারে ভোট চলছে, আর কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) তখন মধ্য়প্রদেশে জঙ্গল সাফারিতে— এই নিয়ে রবিবার সরব হল বিজেপি (BJP)। দলের মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা ব্যঙ্গ করে বললেন, “রাহুল গান্ধীর কাছে এলওপি (লিডার অফ অপোজিশন) মানে ‘লিডার অব পার্টিয়িং’ (পার্টি করা নেতা)। বিহারে ভোট (Bihar Election), আর উনি ছুটিতে। পরে হারলে দোষ দেবেন নির্বাচন কমিশনকে, আর ছেড়ে দেবেন একটা নতুন পাওয়ারপয়েন্ট— ‘এইচ ফাইলস’ বা ‘হলিডে ফাইলস’।”
তিনি আরও একটি হিন্দি কবিতা টুইট করে কংগ্রেসের আত্মসমালোচনার অভাবের ইঙ্গিত দিয়ে বলেন— “তা উমর কংগ্রেস ইয়ে গলতি করতি রহি, ধুল চেহরে পে থি, কংগ্রেস আয়না সাফ করতি রহি।” অর্থাৎ, মুখে ধুলো লাগলেও কংগ্রেস শুধু আয়নাই পরিষ্কার করতে থাকে।
শনিবার রাহুল পৌঁছেছিলেন মধ্য়প্রদেশের নরমদাপুরম জেলার পাহাড়ি শহর পচমাড়িতে, জেলা কংগ্রেস সভাপতিদের প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দিতে। রবিবার সকালে তিনি রবিশঙ্কর ভবন থেকে খোলা জিপে চেপে পনারপানি গেট পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার জঙ্গল সাফারিতে যান, তারপর ফিরে আসেন।
দিনের শেষে তিনি বিহারের কিশনগঞ্জে নির্বাচনী সভায় যোগ দেওয়ার কথা।
মধ্য়প্রদেশে সফরকালে রাহুল ফের অভিযোগ করেন, বিজেপির ইশারায় নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন কর্মসূচির মাধ্যমে “ভোট চুরি” করছে। তাঁর দাবি, “কয়েক দিন আগে আমি হরিয়ানার ডেটা বিশ্লেষণ করে দেখেছি— ২৫ লক্ষ ভোট চুরি হয়েছে, অর্থাৎ প্রতি ৮টি ভোটে ১টি চুরি। একই ঘটনা ঘটছে মধ্য়প্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও ছত্তীসগড়ে।”
রাহুলের আরও অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার জয়েশ কুমার “যৌথ অংশীদারিতে” গণতন্ত্র ও সংবিধানকে আক্রমণ করছেন। তাঁর বক্তব্য, “আম্বেদকরের সংবিধান আক্রান্ত হচ্ছে। মোদী, শাহ ও নির্বাচন কমিশন মিলে সরাসরি গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছেন। এতে ভারতমাতার ক্ষতি হচ্ছে।”
বস্তুত লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী একটি সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে হরিয়ানার ভোটার তালিকায় ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন, যা দেশজুড়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। তিনি এই অভিযোগকে 'এইচ বোমা' (হাইড্রোজেন বোমা) বা ভোটচুরি আখ্যা দিয়েছেন।