নাগরাকাটা কাণ্ডে গ্রেফতার ২
অবশেষে নাগরাকাটায় (Nagrakata Incident) বিজেপির সাংসদ-বিধায়কের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, বাকি ছয় অভিযুক্তর খোঁজেও তল্লাশি চলছে। কিন্তু বিজেপির দাবি, "চাপের মুখে পড়েই ৪৮ ঘণ্টা পর গ্রেফতার দেখাতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ।"
গত সোমবার নাগরাকাটায় ত্রাণ বিলি করতে গিয়ে আক্রান্ত হন বিজেপির সাংসদ খগেন মুর্মু (Khagen Murmu) এবং বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ (Shankar Ghosh)। গুরুতর চোট পেয়েছেন সাংসদ, চোখের নীচের হাড় ভেঙেছে। উত্তরবঙ্গের এক বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
বুধবার তাঁদের দেখতে হাসপাতালে পৌঁছন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা সুকান্ত মজুমদার। সেখানেই তিনি সরাসরি প্রশ্ন তোলেন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। বলেন, “এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার না করাটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।”
অন্যদিকে, এই হামলার পিছনে বিজেপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলই দায়ী কি না, সেই প্রশ্ন ছুড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতায় ফিরে তিনি বলেন, “চ্যারিটি বিগিনস অ্যাট হোম! ঘটনা ঘটেছে বিজেপি অধ্যুষিত এলাকায়, এমপি, এমএলএ—সবই বিজেপির। তাহলে দায় কার?”
তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলতে একচুল পিছু হটছে না গেরুয়া শিবির। বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের কটাক্ষ, “পুলিশের উপস্থিতিতে তৃণমূলের লোকজন হামলা চালিয়েছে। এখন পরিস্থিতি সামলাতে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, কিন্তু আমরা জানি, এই পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করবে না। তাই এনআইএ তদন্ত চাই। সেখানেই আমরা অনড়।”
নাগরাকাটার রাজনৈতিক ঘূর্ণাবর্তে কোন সত্যি সামনে আসে, সেটাই এখন দেখার। তবে বিধায়ক-সাংসদ আক্রান্ত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পর অবশেষে পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করলেও, তদন্ত নিয়ে প্রশ্নের ঝড় থামছে না।