মুরগির পাতলা ঝোল নয়, বরং রেঁধে ফেলুন চিকেন হটপাঞ্চ, জেনে নিন রেসিপি |
বুলা চৌধুরীর বাড়িতে সুকান্ত, এবার কি গেরুয়া শিবিরে প্রাক্তন সাঁতারু?
এবার কি গেরুয়া শিবিরে প্রাক্তন সাঁতারু?
কয়েকদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি মন্তব্যের পর ফের আলোচনার কেন্দ্রে প্রাক্তন সাঁতারু বুলা চৌধুরী। বুধবার কসবায় তাঁর বাড়িতে পৌঁছে গেলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। খেলাধূলার ময়দানে বুলা চৌধুরীর অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর কথা বললেন। কিন্তু, আচমকা বুলা চৌধুরীর বাড়িতে সুকান্তর পৌঁছে যাওয়া নিয়ে নতুন জল্পনা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, এবার কি রাজনীতির ময়দানে দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে দেখা যাবে তাঁকে?
ভারতের সাঁতারে একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র বুলা চৌধুরী। একসময় সিপিএমের হয়ে ভোট ময়দানে নেমেছিলেন তিনি। পশ্চিম মেদিনীপুরের নন্দনপুর বিধানসভা আসনে ( বর্তমানে আসনটি বিলুপ্ত) ২০০৬ সালে প্রার্থী হয়েছিলেন। জিতে ৫ বছর বিধায়কও ছিলেন। তারপর অবশ্য রাজনীতির ময়দানে তাঁকে দেখা যায়নি।
কয়েকদিন আগে ইডেনে ভারতের বিশ্বকাপ জয়ী মহিলা ক্রিকেটার রিচা ঘোষকে সংবর্ধনা দিতে বুলা চৌধুরীর প্রসঙ্গ টেনেছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুলা চৌধুরীর অর্জুন পুরস্কার নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়। আর এই আবহে এদিন বুলা চৌধুরীর বাড়িতে পৌঁছে যান সুকান্ত। বিজেপির ক্রীড়াসেলে যুক্ত হওয়ার জন্য প্রাক্তন সাঁতারুকে প্রস্তাব দেন তিনি। এর পরই সুকান্ত বলেন, “ওঁর অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো উচিত। আমরা যখনই সুযোগ পাব, তাঁর অভিজ্ঞতা কাজে লাগাব। তাই মানুষের কাছে আবেদন, আমাদের সুযোগটা দিন।”
রাজ্যে সুইমিং অ্যাকাডেমি খোলার ইচ্ছে রয়েছে বুলা চৌধুরীর। কিন্তু, জায়গা পাচ্ছেন না। এই নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে আক্রমণ করলেন সুকান্ত। একইসঙ্গে কেন্দ্র কোনওভাবে এই সুইমিং অ্যাকাডেমি খোলার ক্ষেত্রে তাঁকে সাহায্য করতে পারে কি না, তা দেখার কথা বলেন। সেজন্য কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে ডিসেম্বরে বুলা চৌধুরীর সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন সুকান্ত। বুলা চৌধুরীর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে সুকান্ত বলেন, “এটা উনি সিদ্ধান্ত নেবেন।”
তাঁকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে বুলা চৌধুরী এদিন বলেন, “আমি অ্যাওয়ার্ডের দিকে তাকিয়ে সাঁতার কাটিনি।” সুইমিং অ্যাকাডেমি খোলা তাঁর স্বপ্ন জানিয়ে বলেন, “আমার অভিজ্ঞতা পরবর্তী প্রজন্মকে দিয়ে যেতে চাই। নাহলে আমার এতগুলো পুরস্কার জয় বৃথা বলে মনে করি।” সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে কি রাজনৈতিক জলাশয়ে সাঁতার কাটবেন বুলা? কিছুটা হেঁয়ালি রেখে তিনি বলেন, “জলই আমার জীবন। জল ছাড়া কেউ বাঁচবেনও না। এটা আগামিদিন বলবে। তবে খেলাধূলার জন্য আমি আছি।”