বড়দিনের পার্টিতে নলেন গুড়ের ব্রাউনি দিয়েই মিষ্টিমুখ! অতিথিদের মন জিততে জেনে নিন সহজ রেসিপি |
‘বাহুবলী’ LVM3 রকেটের ইতিহাস! ভারত থেকে উৎক্ষেপিত সবচেয়ে ভারী উপগ্রহ 'ব্লু-বার্ড ৬'
‘বাহুবলী’ LVM3 রকেটের ইতিহাস!
২৪ ঘণ্টার কাউন্টডাউন শেষ হওয়ার পর সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে দ্বিতীয় উৎক্ষেপণ মঞ্চ থেকে আকাশে উড়ে যায় ৪৩.৫ মিটার উঁচু LVM3 রকেট। দু’টি শক্তিশালী S200 সলিড বুস্টারের ভরসায় উড়ানের প্রায় ১৫ মিনিটের মধ্যেই নির্ধারিত কক্ষপথে পৌঁছে যায় BlueBird Block-2 উপগ্রহটি। পৃথিবী থেকে প্রায় ৫২০ কিলোমিটার উচ্চতায় সফলভাবে বিচ্ছিন্ন হয় উপগ্রহটি।
ইসরো (ISRO) চেয়ারম্যান ও মহাকাশ দফতরের সচিব ড. ভি নারায়ণন জানান, নির্ভুল ভাবে উপগ্রহটিকে নির্দিষ্ট কক্ষপথে স্থাপন করেছে LVM3-M6। তাঁর কথায়, “ভারতীয় মাটি থেকে ভারতীয় রকেটে এটাই সবচেয়ে ভারী উপগ্রহ উৎক্ষেপণ। এটি LVM3-এর তৃতীয় সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক মিশন এবং আন্তর্জাতিক স্তরে এই লঞ্চ ভেহিকলের দক্ষতা আরও একবার প্রমাণিত হল।”
এই সাফল্যকে ভারতের মহাকাশ অভিযানের ‘গর্বের মুহূর্ত’ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। তাঁর মতে, এই উৎক্ষেপণ ভারতের হেভি-লিফট ক্ষমতাকে আরও মজবুত করেছে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক লঞ্চ বাজারে ভারতের অবস্থান শক্তিশালী করেছে।
BlueBird 6 উপগ্রহটি এমন ভাবে তৈরি, যাতে কোনও অতিরিক্ত যন্ত্র ছাড়াই সাধারণ স্মার্টফোনে সরাসরি স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া যায়। এই মিশনটি ISRO-র বাণিজ্যিক শাখা নিউস্পেস ইন্ডিয়া লিমিটেড (NSIL) এবং মার্কিন সংস্থা AST SpaceMobile-এর মধ্যে হওয়া চুক্তির অংশ।
উল্লেখযোগ্য ভাবে, উৎক্ষেপণের ঠিক আগে সম্ভাব্য মহাকাশ সংঘর্ষ এড়াতে লঞ্চ ৯০ সেকেন্ড পিছিয়ে দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের তুলনায় দেরিতে উৎক্ষেপণের সিদ্ধান্ত নেয় ISRO, কারণ উৎক্ষেপণ পথে মহাকাশের ধ্বংসাবশেষ বা অন্য উপগ্রহের সঙ্গে সংঘর্ষের আশঙ্কা ছিল। শ্রীহরিকোটার আকাশপথে ক্রমবর্ধমান উপগ্রহ চলাচলের জেরেই এমন সতর্কতা বলে জানানো হয়েছে।
তিন ধাপের LVM3 রকেট ইতিমধ্যেই চন্দ্রযান-২, চন্দ্রযান-৩ এবং ওয়ানওয়েবের একাধিক মিশনে সাফল্য দেখিয়েছে। BlueBird 6 উৎক্ষেপণের মাধ্যমে সেই সাফল্যের তালিকায় যুক্ত হল আরও এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।