থানায় চত্বরে ‘চিকনি-চামেলি’ গান
ফের বিতর্কে বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদার। এবার কালীপুজোয় থানা চত্বরেই ডিজে বাজিয়ে চলল উদ্দাম নাচ। ‘চিকনি-চামেলির’ তালে দুলল কোমর। আইসি-র লিটন হালদারের উপস্থিতিতেই থানা চত্বরেই তারস্বরে বাজল ডিজে বক্স। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিয়ো। তা নিয়ে শোরগোল প্রশাসনিক মহলে। শোরগোল রাজনীতির আঙিনাতেও। সূত্রের খবর, কালীপুজোর পরের দিন রাতে বোলপুর থানার ভিতরে এই ঘটনা ঘটেছে। থানা চত্বরে কী কোনওভাবেই এ কাজ করা যায়? আইন কী তাতে মান্যতা দেয়? খোদ আইসি-র নিজে এর সঙ্গে কী করে জড়িয়ে গেলেন?
কালীপুজোয় শব্দবাজির তাণ্ডব রুখতে গোটা রাজ্যেই কোমর বেঁধে নামে পুলিশ। কিন্তু তারপরেও যে শব্দ দানবের হাত থেকে পুরোপুরি রেহাই মিলেছে এমনটা নয়। অন্যদিকে শব্দবাজি ছাড়াও ডিজে-র দাপট নিয়েও কড়া ভূমিকায় ছিল পুলিশ। সেখানে থানা চত্বরেই কী করে বাজল ডিজে সেই প্রশ্ন উঠছে। আর কী করেই বা সেখানে নাচলেন খোদ আইসি? সঙ্গে নাচতে দেখা গেল অন্যান্য পুলিশ কর্মীদেরও। এ নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধতেই ইতিমধ্যেই বীরভূম জেলা পুলিশ সূত্রে লিটন হালদারকে শোকজ করা হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এই লিটন হালদারকে গালিগালাজ করে বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তা নিয়ে একটানা বিতর্ক দেখে বঙ্গের রাজনীতির কারবারিরা। এখনও কথা শুনতে হয় কেষ্টকে। আইনের জলও ঘোলা হয়েছিল বেশ খানিকটা। কেষ্টর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছিল এফআইআর। দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে চিঠি দিয়েও ক্ষমাও চেয়েছিলেন অনুব্রত। এবার সেই লিটনের এই কীর্তিতে স্বভাবতই অনুব্রত কী বলেন সেটাই দেখার। তবে এখনও প্রকাশ্যে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।