'সারা রাজ্যে গুন্ডারাজ চলছে:রাষ্ট্রপতির
উত্তরবঙ্গের নাগরাকাটায় (North Bengal Nagrakata) যে ঘটনা ঘটেছে তার জন্য রাজ্য প্রশাসনের ফের সমালোচনা করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। তাঁর সাফ কথা - যা চলছে তা চলতে দেওয়া যায় না। শুধু তাই নয় উত্তরবঙ্গ সফরের পর দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর (President Droupadi Murmu) সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন রাজ্যপাল। বাংলার সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বোস।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেখানে তিনি জানান, রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে কথা হলেও তাঁর সঙ্গে আলোচনায় ৩৫৬ ধারা বা রাষ্ট্রপতি শাসন (Presidencial Rule) সংক্রান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, রাজ্যে যে একাধিক জায়গায় গুন্ডারাজ চলছে তা পরিষ্কার। এই পরিস্থিতি চলতে দেওয়া যায় না।
রাজ্যপাল এও জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে তাঁর পেশাদার সম্পর্ক অটুট রয়েছে। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধাও আছে, যোগাযোগ বন্ধ হয়নি। কিন্তু গোটা রাজ্যের আনাচে-কানাচে যা ঘটছে তাতে তিনি সন্তুষ্ট নন। রাজ্যপাল বলেন - গ্রাউন্ড জিরোর পরিস্থিতি তিনি জানেন। স্থানীয় এলাকায় গিয়ে আমজনতার সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। পরিস্থিতি ঠিক কোন জায়গায় রয়েছে সে সম্পর্কে যথেষ্ট অবগত।
এই প্রথম নয়, ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা হোক কিংবা অন্য কোনও রাজনৈতিক সংঘর্ষ, তিনি বারংবার মানুষের সঙ্গে কথা বলতে গেছেন - মনে করান রাজ্যপাল বোস। এবারও তিনি একই কাজ করেছেন। সেই প্রেক্ষিতে তাঁর স্পষ্ট মত, বাংলার আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি দেখে দুর্গত এলাকায় নজরদারি ও প্রশাসনিক তৎপরতা জোরদার করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। গঠন করা হয় একটি র্যাপিড অ্যাকশন সেল। সহায়তার জন্য যোগাযোগের ঠিকানা দেওয়া হয়েছে রাজভবন সূত্রে। ফোন করতে পারেন ০৩৩–২২০০১৬৪১ নম্বরে বা ইমেলে জানাতে পারেন, ঠিকানা - peaceroomrajbhavan@gmail.com।
শুধু তাই নয়, নাগরাকাটার ঘটনায় আহত মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুকে (Khagen Murmu) দেখতে শিলিগুড়ির হাসপাতালেও যান রাজ্যপাল। তবে তাঁর খোঁজখবর নেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই অসুস্থ বোধ করেন। ফলে তাঁর উত্তরবঙ্গের মঙ্গলবারের কর্মসূচি বাতিল হয়ে যায়।