শীতের দাপটে জবুথবু বাংলা, শহর কলকাতায় ভাঙছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড |
হুমায়ুনের বাড়িতে পুলিশ, বাবার নিরাপত্তারক্ষীকে মারধর করায় আটক ছেলে
বাবার নিরাপত্তারক্ষীকে মারধর করায় আটক ছেলে
ভরতপুরের বিধায়ক ও তৃণমূলের সাসপেন্ডেড নেতা হুমায়ুন কবীরকে (Humayun Kabir) ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা মুর্শিদাবাদে (Murshidaad)। রবিবার সকালে শক্তিপুরে তাঁর বাড়িতে পুলিশের উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে (Humayun Kabir News)।
অভিযোগ, বিধায়কের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক পুলিশকর্মীকে মারধরের ঘটনায় হুমায়ুনের (Humayun Kabir Son Detained) ছেলে গোলাম নবি আজাদ ওরফে সোহেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ বাড়িতে যায় এবং পরে তাঁকে আটক করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিরাপত্তারক্ষী নিজেই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর দাবি, রবিবার বিধায়ক অফিসে বৈঠক চলাকালীন তিনি ছুটি চাইতে গেলে হুমায়ুনের সঙ্গে বচসা বাধে। অভিযোগ অনুযায়ী, সেই সময় বিধায়ক তাঁকে চড় মারেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে হুমায়ুনের পুত্র সেখানে এসে ওই কনস্টেবলকে মারধর করেন। ঘটনার পরই কনস্টেবল থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান।
এই অভিযোগের ভিত্তিতেই শক্তিপুর থানার পুলিশ রবিবার সকালে বিধায়কের বাড়িতে যায়। সে সময় হুমায়ুন কবীর বাড়িতে ছিলেন না, তিনি ছিলেন বহরমপুরে। পুলিশ তাঁর পুত্রের খোঁজ শুরু করে এবং পরে তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পাশাপাশি বিধায়ক অফিস ও বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। দু’টি পেনড্রাইভে সেই ফুটেজ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
তবে গোটা অভিযোগই উড়িয়ে দিয়েছেন হুমায়ুন কবীর। তাঁর পাল্টা বক্তব্য, নিরাপত্তারক্ষীই তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং তাঁকে মারতে উদ্যত হন। হুমায়ুনের দাবি, সেই পরিস্থিতিতে তাঁর ছেলে ওই পুলিশকর্মীকে অফিসঘর থেকে বের করে দেন। বিধায়কের কথায়, প্রয়োজনে সিসিটিভি ফুটেজ দিয়েই তিনি নিজের অবস্থান প্রমাণ করবেন।
ঘটনার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন হুমায়ুন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, পুলিশ যদি তাঁর পরিবারের সঙ্গে কোনও রকম অশালীন আচরণ করে, তবে বহরমপুর স্তব্ধ করে দেওয়া হবে এবং মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপারের দফতর ঘেরাও করা হবে। পরে খবর পেয়ে তিনি নিজেই শক্তিপুর থানায় পৌঁছন।
এদিকে এসডিপিও ঘটনার কথা স্বীকার করে জানিয়েছেন, ছুটি চাওয়ার কোনও বিষয় ছিল না। কর্তব্যরত পুলিশকর্মীকে মারধরের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়াও এসেছে। তৃণমূলের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, হুমায়ুন নিজেই নিরাপত্তারক্ষীর গায়ে হাত তোলার কথা স্বীকার করেছেন। পুলিশের গায়ে হাত তুললে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতেই হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।