অমিত শাহকে ফোন করে রিপোর্ট নিলেন মোদী, ঘটনার তদন্তভার পেল এনআইএ |
সুন্দরবনে বাঘের রাজত্বে ক্যামেরার পাহারা! নজরবন্দি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের প্রতিটি পদক্ষেপ
নজরবন্দি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের প্রতিটি পদক্ষেপ
ডিসেম্বরে শীত নামবে সুন্দরবনের (Sundarbans) অরণ্যে, আর সেই সঙ্গেই শুরু হবে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের (Royal Bengal Tiger) নতুন শুমারি অভিযান। বন দফতর সূত্রে খবর, এ বার বাঘের গতিবিধি নজরবন্দি করতে গোটা জঙ্গলে বসানো হবে ১,৪৮৪টি ট্র্যাপ ক্যামেরা, ছড়িয়ে থাকবে প্রায় ৪,১০০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলবে এই তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের কাজ।
২৬ নভেম্বর থেকে শুরু হবে ক্যামেরা বসানোর প্রস্তুতি। ইতিমধ্যেই বনকর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে— কোথায়, কী ভাবে ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে, কীভাবে তথ্য সংরক্ষণ করতে হবে— সবকিছু নিয়েই তৈরি বিস্তারিত নির্দেশিকা। প্রায় আড়াইশো বনকর্মী নামবেন এই অভিযানে।
বন দফতরের এক আধিকারিক জানালেন, “প্রতি বছর নির্দিষ্ট সময়ে বাঘ গণনা হয়। তবে এ বার প্রযুক্তি আরও উন্নত— ক্যামেরা ট্র্যাপিং-এর পাশাপাশি তথ্য বিশ্লেষণে ব্যবহার হবে বিশেষ অ্যাপ।”
দু’বছর আগে প্রকাশিত রিপোর্টে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল ৯৬। বন দফতরের আশা, এ বার সেই সংখ্যা ১০০ পেরোবে। তবে শুধু সংখ্যাই নয়, এ বছরের গণনায় নজর থাকবে বাঘের আচরণ, খাদ্যের জোগান এবং শিকারের প্রজাতির উপস্থিতি নিয়েও।
বিশেষভাবে খতিয়ে দেখা হবে, জঙ্গলে হরিণ, বুনো শুয়োর বা অন্যান্য শিকারপ্রাণীর সংখ্যা কতটা রয়েছে। কারণ, বনকর্মীদের মতে, খাবারের জোগান কমে যাওয়া অনেক সময় বাঘকে লোকালয়ে ঢুকতে বাধ্য করছে। তাই এই বছর বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে খাদ্যচক্রের স্থিতিশীলতা যাচাইয়ে।
এক আধিকারিকের কথায়, “বাঘের শুমারি মানেই এখন আর শুধু সংখ্যা নয়, বরং পুরো পরিবেশব্যবস্থার এক বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ।”
ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে শুরু হবে শুমারির প্রথম পর্যায়। আর তখনই সুন্দরবনের অরণ্যে প্রতিটি বাঘের চলাচল ধরা পড়বে ক্যামেরার চোখে— বিশ্বের একমাত্র ম্যানগ্রোভে রাজত্ব করা রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারদের জীবনের নেপথ্যের গল্পও উঠে আসবে সেই ছবিতেই।