অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খিচুড়িতে শুঁয়োপোকা!
খাবারের গুণমান নিয়ে ফের বিতর্কে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। শনিবার সকালে মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের কলমপাড়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খিচুড়ির থালায় শুঁয়োপোকা দেখে চমকে যান উপস্থিত অভিভাবকরা। অভিযোগ, এই খাবারই পরিবেশন করা হচ্ছিল শিশু ও প্রসূতিদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কলমপাড়া সেন্টারের নিয়মিত কর্মী দীপ্তি ভট্টাচার্য বর্তমানে মালদহে থাকেন এবং সেন্টারের দায়িত্ব কার্যত সহায়িকার হাতে। ওই দিন তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। তাঁর দাবি, স্বামীর চিকিৎসার কারণে ছুটিতে ছিলেন। তবে অভিভাবকদের অভিযোগ, সেন্টারের চাল, ডাল ঠিকভাবে ধোয়া হয় না, ফলে এ ধরনের ঘটনা বারবার হচ্ছে। এর আগেও খাবারে পোকা ও আরশোলার অস্তিত্ব মিলেছে বলে দাবি স্থানীয়দের।
এই ঘটনার প্রতিবাদে কেন্দ্রে হাজির হওয়া সুপারভাইজার রুমি মণ্ডলকে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। বিক্ষোভকারী স্থানীয় বাসিন্দা সিদ্ধান্ত দাস বলেন, 'সেন্টারের কর্মী নিয়মিত উপস্থিত থাকেন না। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী মেনু মানা হয় না। শিশু ও প্রসূতিদের স্বাস্থ্যের সঙ্গে ছেলেখেলা হচ্ছে। দায়িত্বে গাফিলতি করা কর্মীর বদলি চাই আমরা।'
সুপারভাইজার রুমি মণ্ডল বলেন, 'এই ধরনের দূষিত খাবার শিশুদের শরীরে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। আমি বিষয়টি সিডিপিও-কে জানিয়ে লিখিত অভিযোগ করব।'
অন্যদিকে, এদিন একই ব্লকের শান্তিপাড়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র নিয়েও তীব্র ক্ষোভ দেখা গিয়েছে অভিভাবকদের মধ্যে। অভিযোগ, ওই কেন্দ্রের কর্মী মুনি কুন্তলা সাহা কেন্দ্রীয় ভবন না থাকায় নিজের মহেন্দ্রপুরের বাড়ি থেকেই কেন্দ্র চালাচ্ছেন। ফলে শিশুদের রাজ্য সড়ক পার হয়ে কেন্দ্রে পৌঁছতে হয়। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যায়।
অভিভাবকদের অভিযোগ, নির্দিষ্ট সময়ে কেন্দ্র খোলা হয় না, মাঝেমধ্যে খোলা থাকলেও দুপুর ১১টার মধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়। দেরিতে এলে শিশুদের খাবার দেওয়া হয় না।
এ নিয়ে মুনি কুন্তলার দাবি, 'শান্তিপাড়ায় সরকারি ভবন নেই। আমার বাড়িতে রান্নার অনুমতি না পাওয়ায় মহেন্দ্রপুরে নিজেই রান্না করে চালাচ্ছি কেন্দ্র। যথা নিয়মে খাবার দেওয়া হয়। কিছু অভিভাবক মিথ্যে অভিযোগ করছেন।'
পুরো বিষয়টি নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের সিডিপিও আবদুস সাত্তারের প্রতিক্রিয়া জানতে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি বা মেসেজের উত্তর দেননি।