চিতা
বাড়ির উঠোন থেকে খুদেকে টেনে নিয়ে গেল চিতা। কিছুক্ষণ পর তা বাগানে মিলেছে শিশুর দেহ। বানারহাটের হার হিম করা ঘটনায় বন দফতরের গাফিলতিতে সরব গ্রামবাসীরা। তাদের অভিযোগ খবর দেওয়ার প্রায় ২ ঘন্টা পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বনদফতরের কর্মীরা। এরপরই বন কর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে গ্রামবাসীরা।
ডুয়ার্সের বানারহাট ব্লকের কলাবাড়ি চাবাগান। চা বাগান লাগোয়া বস্তিতে সবে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে হয়েছে। উঠনে খেলছিল খুদে। বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা ব্যস্ত ছিলেন সংসারের কাজে। কোনো ভাবেই টের পাননি পাশের চা বাগেনেই ওত পেতে রয়েছে চিতা। কিছুক্ষণের মধ্যেই বাড়ির উঠোন থেকে উধাও হয়ে যায় শিশুটি। এই খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই শিশুটির খোঁজে চা বাগানের দিকে যায় স্থানীয়রা। সে খানেই চা বাগানের মধ্যে উদ্ধার হয় বছর তিনেকের আয়ূষ ওঁরাও-এর দেহ।
এরপরই খবর দেওয়া হয় বনদফতরে। কিন্তু গ্রামবাসীদের অভিযোগ ঘটনার খবর পেয়েও কোনো তৎপরতা দেখায় নি বনদফতর। সঙ্গে তাদের আরও অভিযোগ, এলাকায় কোনো ল্যাম্প পোস্টের ব্যবস্থা নেই। ফলে সন্ধ্যা হতে না হতেই অন্ধকারে ডুবে যায় গোটা এলাকা। বনকর্মীরা পৌঁছলে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় তাঁরা। খবর পেয়ে বানারহাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শিশুর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
উত্তরবঙ্গে চা বাগান লাগোয়া এলাকায় চিতাবাঘের সংখ্যা যেন ক্রমশ বাড়ছে। তার আতঙ্কে মাঝেমধ্যেই চা বাগানে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। গত দু’মাসে কলাবাড়ি এলাকা থেকে ৩ টি চিতাবাঘ ধরা পড়েছে বলেই বনদপ্তর সূত্রে খবর। কিছু এলাকায় এখনও খাঁচা পাতা রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বনাঞ্চল সংলগ্ন বসতি এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে কারও কোনও মাথাব্যথা নেই। যদিও এ বিষয়ে বনদফতরের তরফ থেকে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।