এশিয়া কাপে চূড়ান্ত নাটক, টালবাহানার পর মাঠে পৌঁছল পাকিস্তান |
কমিশনের নজরে বাংলার ২২ লক্ষ পরিযায়ী! ডিএমদের তালিকা তৈরি করত বলল ইসি
কমিশনের নজরে বাংলার ২২ লক্ষ পরিযায়ী!
বিধানসভা ভোট আর হাতে গোনা মাস কয়েক। তার আগেই পরিযায়ী শ্রমিকদের (Migrants Worker) নাম ঘিরে তৎপর নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। কার নাম ভোটার তালিকায় (Voter List) রয়েছে, কার নেই—তা খতিয়ে দেখতে এবার সরাসরি জেলার জেলাশাসকদের চিঠি পাঠাল কমিশন।
কমিশন সূত্রে খবর, রাজ্যের মোট পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা ২২ লক্ষের কিছু বেশি। ভিন রাজ্যে কর্মসূত্রে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের নাম যেন একাধিক রাজ্যে ভোটার তালিকায় না চলে যায়, আবার প্রকৃত ভোটারদের নাম যেন বাদ না পড়ে— এই দু'দিক মাথায় রেখেই জেলা প্রশাসনের থেকে খুঁটিনাটি তথ্য চাইছে নির্বাচন কমিশন।
কমিশনের চিঠিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে— প্রত্যেক শ্রমিক কোন জেলায় বসবাস করেন, কতদিন ধরে ভিন রাজ্যে কাজ করছেন, কী ধরনের কাজ করেন, এবং বর্তমানে কোথায় রয়েছেন— এসব তথ্য বিস্তারিতভাবে জানাতে হবে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, বাংলার ২২ লক্ষেরও বেশি মানুষ দেশের নানা প্রান্তে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন। বিশেষ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর—এই জেলাগুলিতেই পরিযায়ী শ্রমিকদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
নির্বাচন কমিশনের এক কর্তার কথায়, “নাম যেন ডুপ্লিকেট না হয়, আবার প্রকৃত ভোটারের নামও বাদ না যায়—এই দুই লক্ষ্য নিয়েই এই উদ্যোগ। বিহারে যেভাবে ‘এসআইআর’ (Special Summary Revision) করে পরিযায়ী ভোটারদের তালিকা তৈরি হয়, বাংলাতেও সে রকমই প্রস্তুতি চলছে।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখেই পরিযায়ী শ্রমিকদের ভোটার তালিকা আরও নির্ভুল করতে চাইছে কমিশন। এর প্রভাব যে বেশ কিছু হটস্পট আসনে পড়তে পারে, তা বলাই বাহুল্য। তবে এত বিশাল সংখ্যক শ্রমিকের তথ্য কতটা নির্ভুল ভাবে জোগাড় করা যাবে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।