দুর্গাপুজোর আগেই লক্ষ্মীলাভ! জালে উঠল ৫০টি নড়ে ভোলা, দর উঠল সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা |
শ্মশানে পৌঁছে নড়ে উঠল ‘মৃতদেহ', চিতায় শোয়ানোর আগে বেঁচে উঠলেন বৃদ্ধা
শ্মশানে পৌঁছে নড়ে উঠল ‘মৃতদেহ
ওড়িশার (Odisha) পুরীতে (Puri) ঘটল অবিশ্বাস্য এক ঘটনা (Socking incident)। ৮৬ বছরের এক বৃদ্ধা, যাঁকে মৃত ভেবে শেষকৃত্যের জন্য শ্মশানে আনা হয়েছিল, হঠাৎ বোঝা গেল, তিনি ‘মরেন নাই’ (woman alive before cremation)। বিলকুল জীবিত! সোমবার ওই ঘটনায় পরিবার, শ্মশানের পুরোহিত থেকে শুরু করে উপস্থিত সকলে হতবাক হয়ে যান।
অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা পি. লক্ষ্মী (৮৬) মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন। গঞ্জাম জেলাযর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন বলে পরিবারের দাবি। তারপর শেষকৃত্যের জন্য তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় পুরীর স্বর্গদ্বার শ্মশানে।
শেষকৃত্যের প্রস্তুতি চলছিল জোরকদমে। কিন্তু এর মধ্যেই এক নিরাপত্তারক্ষী আচমকা লক্ষ্য করেন, দেহ নড়ছে। কাছে গিয়ে দেখা যায়, বৃদ্ধার শ্বাস চলছে। সঙ্গে সঙ্গে স্তম্ভিত হয়ে যান পরিবার ও উপস্থিত জনতা।
লক্ষ্মীর এক আত্মীয় বলেন, “চোখ খোলেননি, নিঃশ্বাস নিচ্ছিলেন না, তাই আমরা ভেবেছিলাম তিনি মারা গেছেন। আশেপাশের লোকজনকে খবর দেওয়া হয়েছিল। গাড়িতে করে দেহ আনা হয়েছিল স্বর্গদ্বারে দাহ করার জন্য।”
ঘটনার পর তড়িঘড়ি চিতার আয়োজন বন্ধ করা হয়। বৃদ্ধাকে নিয়ে যাওয়া হয় পুরী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেন, তিনি জীবিত আছেন এবং তৎক্ষণাৎ জরুরি চিকিৎসা শুরু হয়।
হাসপাতালের চিকিৎসক জানান, “মহিলার অবস্থা আশঙ্কাজনক। হৃদপিণ্ড ও কিডনি কাজ করছে, কিন্তু তাঁর মস্তিষ্ক সঠিকভাবে সাড়া দিচ্ছে না।”
এদিকে, স্বর্গদ্বার শ্মশান কমিটির ম্যানেজার ব্রজ কিশোর সাহু জানান, দাহ করার জন্য তিনটি নথি - মৃতার আধার কার্ড, আবেদনকারীর আধার কার্ড ও ডেথ সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক। কিন্তু পরিবার ডেথ সার্টিফিকেট দেখাতে পারেনি। তিনি বলেন,“আমরা ডেথ সার্টিফিকেট আনার অনুরোধ করছিলাম। সেই সময়ই নিরাপত্তারক্ষী দেখতে পান বৃদ্ধা শ্বাস নিচ্ছেন।”