You will be redirected to an external website

একসঙ্গে দুই দেশে ভোট দেন! খবর প্রকাশ্যে আসতেই বেপাত্তা হাসনাবাদের দম্পতি

Couple votes in two countries at once! As soon as the news came out, they went missing

নকল ভোর্টার কার্ড


নিয়ম মেনে চলছিল ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ। তাতেই ফাঁস হয়ে গেল বাংলাদেশি এক দম্পতির কীর্তি। হাসনাবাদ থানার মাখালগাছা গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদপুর মাঝেরপাড়া এলাকায় ভোটার লিস্টে নাম রয়েছে ওই দম্পতির।

খোঁজ নিতেই জানা যায়, বাংলাদেশেও নিয়মিত ভোট দেন বাংলাদেশের বাসিন্দা আকবর আলি গাজি ও ফারহানা গাজি নামে ওই দম্পতি। বিষয়টি জানাজানি হতেই গা ঢাকা দিয়েছে ওই দম্পতি।

স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের দাবি, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ২০১৯ সাল থেকে ওই দম্পতির নাম রয়েছে ভারতীয় ভোটার তালিকায়। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

পঞ্চায়েত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসনাবাদ থানার চাঁদপুর মাঝেরপাড়ার বাসিন্দা গিয়াসউদ্দিন গাজির বাড়িতেই থাকতেন আকবর ও ফারহানা। গিয়াসউদ্দিন ১০০ দিনের প্রকল্পের মাখালগাছা গ্রাম পঞ্চায়েতের সুপারভাইজ়ার।

বাংলাদেশের বাসিন্দা আকবরের সম্পর্কে ভাইপো হন গিয়াসউদ্দিন। বাড়িতে থাকা ও বাংলাদেশের নাগরিক কাকা–কাকিমাকে ভারতীয় ভোটার তালিকায় নাম তুলতে সাহায্য করার অভিযোগ অস্বীকার করে গিয়াসউদ্দিন বলেন, ‘আকবর আলি গাজি সম্পর্কে আমার কাকা।

তিনি ছোটবেলায় এখানে ছিলেন। পড়াশোনাও করেছেন এখান থেকেই। এখন বাংলাদেশে থাকেন। মাঝেমধ্যেই চিকিৎসার প্রয়োজনে ভারতে এলে আমার বাড়িতে দুই একদিনের জন্য থেকে আবার চলে যান। এখানকার ভোটার তালিকায় তাঁর নাম কী ভাবে উঠল আমি জানি না।’

নথিপত্র খতিয়ে দেখে বোঝা গিয়েছে ওই দম্পতি দু’দেশেরই ভোটার। বাংলাদেশের ভোটার কার্ডে দেখা যাচ্ছে আকবরের বাড়ি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে আকবর ও তাঁর স্ত্রী ফারহানা ভারতে চলে আসেন। এই ঘটনা সামনে আসার পরেই দু’জন বেপাত্তা।

বিষয়টি নিয়ে মাখালগাছা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য এবাদুল সানা বলেন, ‘২০১৯ সাল থেকে আকবর ও ফারহানার নাম ভোটার তালিকায় ওঠে। আমি ২০২৩ সালে চাঁদপুর এলাকা থেকে পঞ্চায়েতের সদস্য হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করি, কিন্তু কোনও কাজ হয়নি।’

বিষয়টি নিয়ে বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি সুকল্যাণ বৈদ্য বলেন, ‘এটা শুধু হাসনাবাদের বিষয় নয়। পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত লাগোয়া যতগুলো জেলা আছে, প্রত্যেকটা জেলায় এমন হাজার হাজার আছে। এরাই হচ্ছে তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্ক। জেনে শুনে তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব এদের আশ্রয় দিচ্ছে।’

বিষয়টি নিয়ে হাসনাবাদ ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি আসলাম গাজি বলেন, ‘আমাদের নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় প্রথম ভারতের নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন এক ব্যক্তি এক এপিক কার্ডের।

আমাদেরও একই প্রশ্ন ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে। এই বাংলাদেশি নাগরিক কী ভাবে এখানে ভোটার হলো? আমরা চাইছি ভোটার তালিকা থেকে ওই বাংলাদেশি দম্পতির নাম কেটে দিয়ে কী ভাবে ওরা এ দেশের ভোটার তালিকায় নাম তুলল তার তদন্ত করা হোক।’

AUTHOR :Sukanya Majumder

Sukanya Majumdar is a Copywriter and Social Media Desk Personnel at Express News. She holds a Bachelor's degree in Mass Communication from Burdwan University and a Diploma in Media Science from MAKAUT. Additionally, she has completed practical training in News Reading and Copy Editing from Fox Media School. With a strong foundation in both traditional and digital media, Sukanya brings clarity, creativity, and precision to every piece of content she crafts.

মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হিমাচল! মান্ডিতে হাড়পা বানে তলিয়ে গেল বাড়ি, নিখোঁজ বহু, সরকারের হিসেব অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা ২৩ জন Read Previous

মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্য...

Mamata relies on 'Keshta' in Birbhum! Anubrata Mandal gets the post Read Next

বীরভূমে 'কেষ্ট' -তেই ভরসা ...