অস্বস্তিকর আবহাওয়ার মধ্যেই বৃষ্টির পূর্বাভাস!বেশ কিছু জেলায় হলুদ সতর্কতা |
ছাত্র নির্বাচন নিয়ে রাজ্যকে নিদান আদালতের, দ্রুত রিপোর্ট পেশের নির্দেশ
কলকাতা হাই কোর্ট
রাজ্যের কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করুক রাজ্য়। বাকিটা আদালত দেখবে। রাজ্যের কলেজগুলিতে ছাত্র নির্বাচন নিয়ে কড়া মন্তব্য কলকাতা হাইকোর্টের। প্রায় সাত বছর রাজ্যেক কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে হয়নি ছাত্র নির্বাচন। এই নিয়ে জনস্বার্থ মামলা হয়। সেই মামলার শুনানিতেই নির্বাচন না-হওয়া নিয়ে রাজ্যকে প্রশ্ন করেছে বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চ। এরপরই ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, এই বিজ্ঞপ্তি জারি নিয়ে রাজ্য কী ভাবছে, তা-ও জানাতে হবে। দু’সপ্তাহ পরে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
এর উত্তরে রাজ্যের আইনজীবীর সওয়াল, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নেই। এরপরই রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি সেন এবং বিচারপতি দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য, ‘‘গত শুনানিতে আপনারা বলেছিলেন উপাচার্য না থাকার জন্য নির্বাচন করা যাচ্ছে না। কিন্তু অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে তো উপাচার্য রয়েছেন। সেখানে কেন নির্বাচন হয়নি?’’ রাজ্যের আইনজীবী উত্তর দেন, যে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য রয়েছেন, সেখানে ভোট করানো যাবে না। কারণ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এই অস্থায়ী উপাচার্যদের নীতি নির্ধারণ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই। বিচারপতি সেনের মন্তব্য, ‘‘আপনার কাজ কি ভোট করানো?’’ রাজ্যের আইনজীবী জানান, রাজ্যের কাজ নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা। তার পরেই ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য, ‘‘তা হলে আপনি তা-ই করুন। বাকিটা আমি দেখব।’’
ছাত্র সংসদের নির্বাচন নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। মামলাটি করেন আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। একটি হলফনামা তুলে ধরে তিনি জানান, রাজ্যের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রতিক সময়ে কোনও ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়নি। অনেক কলেজে দীর্ঘ দিন ধরে নির্বাচন স্থগিত রয়েছে। বর্তমানে ওই সব বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে কোনও কার্যকর ছাত্র সংগঠন নেই।
কসবা ল কলেজে ধর্ষণের ঘটনায় দেখা যায় বিধায়কের নেতৃত্বেই মনোজিৎ-এর ক্ষমতাশালী হয়ে ওঠা। এরপরই দেখা যায় রাজ্যের একধিক কলেজগুলির পরিচালন কমিটির মাথায় বসে রয়েছে তৃণমূলের বিধায়ক, নেতা,মন্ত্রীরা। এর জেরে কলেজগুলিতে ছাত্র নির্বাচনের প্রয়োজন আরও জোরাল হয়।