অনিরুদ্ধাচার্যের বিরুদ্ধে মামলা নিল আদালত
মহিলাদের নিয়ে অশালীন ও অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগে আধ্যাত্মিক গুরু অনিরুদ্ধাচার্যর (Aniruddhacharya derogatory remarks) বিরুদ্ধে মামলা নিল আদালত। অভিযোগটি করেছিলেন অল ইন্ডিয়া হিন্দু মহাসভার আগ্রা জেলা সভাপতি মীরা রাঠোর। তাঁর দাখিল করা অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (CJM) কোর্ট। আগামী ১ জানুয়ারি মীরা রাঠোরের জবানবন্দি নেবে আদালত।
অক্টোবরের ভাইরাল ভিডিও থেকেই শুরু বিতর্ক
অক্টোবর মাসে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়, যেখানে অনিরুদ্ধাচার্য অল্প বয়সি মহিলা এবং বিয়ে নিয়ে মন্তব্য করেন। ভিডিওতে তাঁর বক্তব্যকে নেটিজেনদের বড় অংশ ও নারী সংগঠনগুলি “অপমানজনক, নারীবিদ্বেষী এবং স্টেরিওটাইপ ছড়ানো” হিসেবে চিহ্নিত করে, ফলে তীব্র সমালোচনা শুরু হয় (Women insult controversy)।
মীরা রাঠোর প্রকাশ্যে বলেন, “এ ধরনের মন্তব্য কোনও ধর্মীয় নেতার মুখে শোভা পায় না।”
পুলিশের কাছে অভিযোগে লাভ না হওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ
প্রথমে মীরা অভিযোগ করেছিলেন বৃন্দাবন থানায়। কিন্তু এফআইআর না হওয়ায় তিনি আদালতে যান। তাঁর আইনজীবী মনীশ গুপ্ত জানান, পুলিশ অভিযোগ নেওয়ার পথে কোনও পদক্ষেপই করেনি, তাই বাধ্য হয়ে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে আবেদন করা হয়।
প্রতিবাদের অংশ হিসেবে ব্যক্তিগত সংকল্প - ‘চুল বাঁধব না’
মীরা রাঠোর জানান, তিনি এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে একটি ব্যক্তিগত সংকল্প নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “আবেদন করার পর থেকে আমি চুল বাঁধিনি। ঠিক করেছিলাম, মামলা না নেওয়া পর্যন্ত বেণী বাঁধব না। এখন আদালত মামলা গ্রহণ করেছে, হয়তো এবার বাঁধব।”
তিনি দাবি করেছেন, মহিলাদের প্রতি “অপমানজনক মন্তব্য” করার জন্য অনিরুদ্ধাচার্যকে জেলে পাঠানো হোক।
অনিরুদ্ধাচার্যের সাফাই, ‘মহিলা-পুরুষ উভয়কে নিয়েই বলেছিলাম’
ভিডিও নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠার পর অনিরুদ্ধাচার্য বলেন, তাঁর বক্তব্যকে “ভুলভাবে পরিবেশন করা হয়েছে”। তিনি দাবি করেন, “আমি নারী-পুরুষ দু'জনকে নিয়েই বলেছিলাম। একাধিক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক থাকা কোনও নারী ভাল চরিত্রের নয়, আর একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকা পুরুষও ব্যভিচারী। বিষয়টি বিকৃত আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।”