হাসিনা কতদিন ভারতে থাকতে পারবেন, স্পষ্ট করে জানালেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর |
সিপিএমের লোক চাকরি খেতে এসেছিল, আটকে দিয়েছি, চোখ রাঙাবেন না: কল্যাণ
সিপিএমের লোক চাকরি খেতে এসেছিল
"একদিন যে লোকটা ভগবান হয়ে উঠেছিল, রিকশা, অটোর পিছনে 'তুমি ভগবান, তুমি ভগবান' লিখে যার পোস্টার পড়ত, সেই তিনিই এখন শয়তান হয়ে গিয়েছেন।" তৃণমূলের সংহতি দিবসের অনুষ্ঠানে নাম না করে প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Abhijit Ganguly) কটাক্ষ করলে শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (TMC Kalyan Banerjee)।
শনিবার কলকাতার মেয়ো রোডে ‘সংহতি দিবস’ (Sanghati Diwas) পালন করছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিনে সম্প্রীতি রক্ষার দাবি নিয়ে প্রতি বছরেই এই দিনটিকে পালন করে তৃণমূল। অন্যান্য বছর দলের সংখ্যালঘু সেলকে এই অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ বছরও দলের ছাত্র ও যুব সংগঠন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। আর সেই অনুষ্ঠান থেকেই চাকরি খাওয়া নিয়ে সিপিএম-বিজেপির (CPM-BJP) উদ্দেশে কটাক্ষ করলেন কল্যাণ।
অনুষ্ঠানমঞ্চ থেকে তিনি বলেন, "সিপিএম-এর লোকেরা চাকরি খেয়ে চলে যায়। আর আমাদের চ্যালেঞ্জটা এই জায়গায়। বাংলায় কয়েকটা উকিলের জন্য কলকাতার প্রতিষ্ঠানগুলো দাঁড়িয়ে থাকবে কিনা, সেটাই আমরা জানতে চাই। একটা পচা-গলা-মরা জীবকে প্রতিষ্ঠানের কোনও কোনও একজন খালি প্রাণ দিয়ে যাচ্ছে। এই সিপিএমের লোকই চাকরি খেতে এসেছিল, আটকে দিয়েছি। বলে দিলাম, একদম চোখ রাঙাবেন না। অভিষেক হল আগামী দিনের ভবিষ্যৎ, আর দিদি ছিল আছে থাকবে।"
বস্তুত, এই সংহতি দিবসে এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। লেখেন, কিছু রাজনৈতিক দল রাজ্যে সাম্প্রদায়িক অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে। তাদের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে।
মমতা আরও লেখেন, "বাংলার মাটি একতার মাটি। এই মাটি রবীন্দ্রনাথের মাটি, নজরুলের মাটি, রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দের মাটি- এই মাটি কখনও মাথা নত করেনি বিভেদের কাছে, আগামী দিনেও করবে না। হিন্দু, মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান, জৈন, বৌদ্ধ — বাংলায় সকলে আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলতে জানি। আনন্দ আমরা ভাগ করে নিই। কারণ আমরা বিশ্বাস করি ধর্ম যার যার, কিন্তু উৎসব সবার। যারা সাম্প্রদায়িকতার আগুন জ্বালিয়ে দেশকে ধ্বংস করার খেলায় মেতেছে, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই জারি থাকবে। সকলে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখুন।"
শনিবার দুপুরের এই সভাতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ধর্মগুরু ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সাংগঠনিক ও প্রশাসনের তরফে তার সমস্ত প্রস্তুতি আগে থেকেই নেওয়া হয়ে গিয়েছিল। মূলত কলকাতার পাশাপাশি দুই ২৪ পরগনা ও হাওড়ার ছাত্র-যুবদেরই এই কর্মসূচিতে আসতে বলা হয়েছে।