উন্নয়ন আধিকারীকের দফতর
নাম বিভ্রাটের জের। জীবিত মহিলার নামে জাল ডেথ সার্টিফিকেট তৈরী করে সরকারি প্রকল্প থেকে বঞ্জিত করার অভিযোগে শোড়গোল দক্ষিণ ২৪পরগনা। শুধু তাই নয় ভুয়ো ডেথ সার্টিফিকেট তৈরি করে তা সরকারি অফিসে জমা দেওয়ার অভিযোগ উঠলো কুলতলির এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানতে পেরে থানায় ও বিডিও অফিসে অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ও কুলতলি ব্লক প্রশাসন।
জানা গেছে, কুলতলির কুন্দখালি গোদাবর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা সাবানা নস্কর। অভিযোগ গোপালগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে তার নামে ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। কিভাবে গোপালগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা না হয়েও পঞ্চায়েত থেকে ডেথ সার্টিফিকেট তোলা হল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। সাহাদুল লস্কর, যিনি কুলতলির কৃত্তনখোলার বাসিন্দা তিনি এই কাজ করেছেন বলে অভিযোগ। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কৃষক বন্ধু সুবিধাপ্রাপ্ত কোনো কৃষক ৬০ বছরের আগে মারা গেলে তাকে এককালীন ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য করা হয়। সেই সাহায্যের জন্য আবেদন করা হয়। আঁধার কার্ড ছাড়া যে সমস্ত নথি জমা করা হয়েছে এডিও অফিসে তা সবই ভুয়ো বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয় সাবানা লস্করের নামে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকাও অন্য অ্যাকাউন্টে ঢুকছিল বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে সাহানার বাবার নামও সাহাদুল লস্কর অন্যদিকে অভিযুক্তের বাবার নামও একই। ঘটনাচক্রে দুজনের বাড়িও কৃত্তনখোলা এলাকায় যদিও বুথ নাম্বার আলাদা এবং দুজনের বাবার নামও আলাদা। সাহানার বাবা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড সাহানার শ্বশুরবাড়ির ঠিকানায় ট্রান্সফার করতে গিয়ে জানতে পারেন তার মেয়ের নামে ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু হয়ে গিয়েছে। সাহানার বাবার আরও অভিযোগ এই বিষয়ে বিডিও অভিযোগ জানাতে গেলে তার অভিযোগ নেওয়া নিয়ে গড়িমসি করা হয়।
এই বিষয়ে গোপালগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিমল সরদার বলেন এইভাবে ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়ার কথা নয়। কে বা কারা এরসাঙ্গে যুক্ত তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে কুলতলির ADLR আধিকারীক সৌরভ পাড়িয়া জানান ঘটনার তদন্ত চলছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।