জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল
জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা। মৃতদেহ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিতে ময়নাতদন্ত ও গোটা ঘটনার তদন্তের দাবিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাসপাতাল চত্বর৷ কোতয়ালী থানার পুলিশ কর্মীরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে৷
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত রোগীর নাম নান্টু দে সরকার (৫০)। জলপাইগুড়ি পবিত্র নগর কলনীর বাসিন্দা নান্টু দে পেশায় দিনমজুর। সরকার বুধবার সন্ধ্যায় পায়ে ব্যাথা নিয়ে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আসেন৷ কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালের ৫ তলায় সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে ভর্তি করে নেন। অভিযোগ, সেখানেই তাকে একটি ইনজেকশন দেয় নার্সিংরা। এর পর থেকে নান্টু দে সরকারের শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। এবং কিছু সময়ের মধ্যেই তার মৃত্যু হয় বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরিবারকে জানায়।
পরিবারের দাবি, সার্জিক্যাল ওয়ার্ডের চিকিৎসক বলেন এই রোগীকে ৪তলায় মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করার দরকার ছিল কেনো সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে ভর্তি করা হল।এই প্রশ্নের উত্তরে রোগীর পরিবারের সদস্যরা বলেন এমারজেন্সি বিভাগের চিকিৎসকের পরামর্শেই ভর্তি করা হয়েছে৷ এর পরেই পরিবারের সদস্যরা উত্তেজিত হয়ে উঠে৷ হাসপাতালের গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে।
সেই সময় কোতয়ালী থানার পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে৷
গভীর রাত পর্যন্ত এই উত্তেজনা চলার পর পরিবার চিকিৎসার গাফিলতি ও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতে ময়না তদন্তের দাবি জানিয়ে দুটি লিখিত অভিযোগ করে। একটি অভিযোগ করা হয় পুলিশকে অন্যটি করা হয় মেডিক্যাল কলেজ কর্তিপক্ষকে৷ পাশাপাশি মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র চিকিৎসকদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বাসিন্দারা৷ কনো সিনিয়র চিকিৎসকে ঠিক সময় মেডিক্যাল কলেজে পাওয়া যায়না, এই দাবিও ওঠে। তবে এদিনের এই ঘটনায় পূর্ণ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।