নাম বিভ্রাটে জেরবার ডেবরার বিধায়ক
নাম এক, পরিচয় আলাদা! আর সেই মিলই বিপাকে ফেলেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে (Humayun Kabir, Debra MLA)। গত দু’দিন ধরে যেন এক অদৃশ্য ঝড়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
বিধায়কের কথায়, মোবাইল ফোন হাতছাড়া করা দায়। অচেনা নম্বরের বন্যা। আর ওপাশ থেকে প্রায় একই অনুরোধ, “কিউআর কোডটা পাঠাবেন? মসজিদের জন্য অনুদান দিতে চাই।”
ফলস্বরূপ, কপালে হাত দিতে বাধ্য হচ্ছেন ডেবরার বিধায়ক। কারণ, তিনি সেই হুমায়ুন নন!
ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর শিলান্যাসের পরেই অনুদান চেয়ে আবেদন করেছিলেন। মসজিদের জন্য স্টিলের ১১টি দানবাক্সও রাখা হয় সভাস্থলে। দু’দিনেই নাকি সেগুলি ঠাসা নোটে ভরে গেছে। সেই সঙ্গে অনলাইন অনুদানের ঢল। আর ভুলবশত সেই ঢলের খানিকটা এসে পড়ছে ডেবরার হুমায়ুনের ফোনে!
বিহার, ঝাড়খণ্ড, মুম্বই, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ পেরিয়ে—সরাসরি দুবাই থেকেও ফোন! দু’দিনে প্রায় ২০০-র বেশি কল ধরতে হয়েছে তাঁকে।
ডেবরার হুমায়ুনের কথায়, “অচেনা নম্বর হলেও সব ফোনই ধরি। কিন্তু দু’দিনে যাঁরা আমাকে ফোন করেছেন, প্রায় সকলেই ভরতপুরের হুমায়ুনকে খুঁজছেন। সবাইকে বোঝাতে হচ্ছে—আমি অন্য হুমায়ুন!”
অস্বস্তি হচ্ছে? তিনি স্পষ্ট, অস্বস্তি খানিকটা আছে। তবে বিরক্তি নেই। ফেসবুকেও নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে পোস্ট করেছেন তিনি।
ও দিকে ভরতপুরের হুমায়ুনের দাবি শুধু চারটি বাক্স আর একটি বস্তা খুলেই নগদ মিলেছে ৩৭ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা। আর অনলাইনে কিউআর কোড স্ক্যান করে এসেছে ৯৩ লক্ষ টাকা। বাকি সাতটি দানবাক্সের হিসেব সোমবার সন্ধ্যায় শুরু হবে—৩০ জন মানুষ রাতভর বসে গণনা করছেন। সব মিলিয়ে অনুদানের অঙ্ক কয়েক কোটি ছাড়াবে বলেই দাবি ভরতপুরের হুমায়ুনের।