ভক্তিই শক্তি! বিশ্বজয়ের পর মহাকালেশ্বর মন্দিরে আরাধনায় দীপ্তি
বিশ্বজয়ের পর মহাকালেশ্বর মন্দিরে আরাধনায় দীপ্তি
গলায় জড়ানো গোলাপি রংয়ের নামাবলি। তাতে লেখা ‘মহাদেব’। ছোট করে ছাঁটা চুল। মন্দিরের প্রার্থনা, ঘণ্টা-কাঁসরের সঙ্গে তালে তালে হাত মেলাচ্ছেন। পুরো কপাল জুড়ে টিকা। উজ্জয়িনীর মহাকালেশ্বর মন্দিরে আর পাঁচজন ভক্তের মধ্যে মিলেমিশে বসে আছেন দীপ্তি শর্মা। যিনি কিছুদিন বিশ্বকাপ জিতেছেন। তারপর সংবর্ধনার ব্যস্ততা কম ছিল না। সেসব থেকে ছুটি পেতেই ঈশ্বরের আরাধনায় ‘ভক্ত’ দীপ্তি।
টুর্নামেন্টের সেরা হয়েছেন দীপ্তি (২১৫ রান ও ২২ উইকেট)। ২০১১-র ভারতের পুরুষদের বিশ্বজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন যুবরাজ সিং। তিনিও ব্যাটে-বলে পারফর্ম করে বিশ্বকাপের সেরা হয়েছিলেন। দীপ্তি যেন যুবরাজেরই প্রতিচ্ছবি। দাদার সঙ্গে ক্রিকেট মাঠে যেতেন। সেখানে নজরে পড়েন প্রাক্তন ক্রিকেটার হেমলতা কলার। দাদার আত্মত্যাগ অন্যতম শক্তি আগ্রার অলরাউন্ডারের।
তাঁর সঙ্গে রয়েছে দীপ্তির ঈশ্বরে ভক্তি। বজরংবলির ভক্ত ক্রিকেটার নিরামিশাষী। হাতে হনুমানজির ট্যাটু আছে। তাঁর একসময়ের ‘মেন্টর’ মিঠু মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, “ও খুবই নিষ্ঠাবান। বজরংবলির ভক্ত। ভেজিটেরিয়ান। প্রত্যেকদিন হনুমান চালিশা পড়ে ঘুমাতে যায়। এটাই হয়তো ওকে জোর জুগিয়েছে।” উজ্জয়িনীর মহাকালেশ্বর মন্দিরে যাওয়ার নেপথ্যে আরেকটা কারণ খুঁজে পাচ্ছেন অনেকে। বিশ্বকাপে টানা ম্যাচ হেরে একসময় সেমিফাইনাল অনিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল টিম ইন্ডিয়ার। তারপর এই মন্দিরে এসেই প্রার্থনা করে পুরো দল। সেই পরিস্থিতি থেকে কামব্যাক করে চ্যাম্পিয়ন হয় টিম ইন্ডিয়া।
বিশ্বজয়ের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে টিম ইন্ডিয়া। তাঁকে উত্তরপ্রদেশ সরকার ১.৫ কোটি টাকা দিয়েছে। এর সঙ্গে তাঁকে ডিএসপি পদে চাকরি দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে মহাকালেশ্বর মন্দিরে উপস্থিত দীপ্তি। মন্দির কর্তৃপক্ষও সংবর্ধনা দেয় দীপ্তিকে।