পুজোর আগে চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গু
পুজোর (Durga Puja) আগে চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গুর (Kolkata Dengue) বাড়বাড়ন্ত। মশাবাহিত রোগ প্রতিহত করতে তৎপর কলকাতা পুরসভাও (Kolkata Municipal Corporation)। কিন্তু এ ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে মানুষকেই, শুক্রবার এমনটাই জানালেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
ডেঙ্গু রুখতে ইতিমধ্যে পুরসভার তরফে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মশার লার্ভা মারতে নেওয়া হচ্ছে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। একই সঙ্গে সাধারণ মানুষকে সচেতনার বার্তাও দেওয়া হয়েছে পুরসভার তরফে। এদিন ফিরহাদ জানিয়েছেন, এখনও অবধি ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৫০৯ ডেঙ্গি। যা আগে ছিল ৩৭০। কেস বেড়েছে ৭৪টি। যে কারণে সচেতনতামূলক প্রচারে আরও জোর দেওয়ার কথা বলেছেন মেয়র। বলেছেন, "৭ দিন লাগাতার ভিজিট করতে হবে। এই সময় হচ্ছে ডেঙ্গু বাড়ার সময়। মানুষ এ ব্যাপারে যতদিন সচেতন হবে না ততদিন লাগাম টানা যাবে না।
চলতি বছর ডেঙ্গু সংক্রমণের নিরিখে শহরের সাতটি ওয়ার্ডকে বিশেষ ভাবে চিহ্নিত করেছে পুরসভা। যেগুলি মূলত দক্ষিণ কলকাতা এলাকাতেই রয়েছে। সেই সাতটি ওয়ার্ডের মধ্যে আবার দু’টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। একটি কলকাতা পুরসভার ৭০ নম্বর ওয়ার্ড, অন্যটি ৭৭ নম্বর ওয়ার্ড। সেখানে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলেই দাবি কলকাতা পুরসভার। সেখানে যাতে ডেঙ্গি পরিস্থিতি বিশেষ ভাবে মাথাচাড়া না দিতে পারে, সে বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছে পুরসভা।
এ ছাড়াও দক্ষিণ কলকাতার আরও যে পাঁচটি ওয়ার্ডে ডেঙ্গির সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে, সেগুলি হল ৬৬, ৬৭, ৬৯, ৯৩ এবং ১০৮ নম্বর ওয়ার্ড। আচমকা এমন সংক্রমণ প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার পদক্ষেপের বিষয়ে এক কর্তা জানাচ্ছেন, গত জুনের শেষ থেকে জুলাই মাস জুড়ে বেশি পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে কলকাতায়। চলতি মাসেও মাঝেমধ্যে বিক্ষিপ্ত ভাবে শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টির জমা জলের কারণেই সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তা ছাড়া কলকাতার বাসিন্দারা নিজেদের দায়িত্ব প্রসঙ্গে এখনও সচেতন নন।
ক'দিন আগে পঞ্চায়েত দফতরের তরফে এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে বিভিন্ন জেলার পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের ডেকে বর্তমান পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করা হয় এবং আগামী দিনে কীভাবে আরও সক্রিয় পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সেই নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতরের পরামর্শ, সপ্তাহে অন্তত একদিন সমস্ত পাত্র খালি করে দিন, ফুলদানি বা টবের জলে জমা জল বদলান, ঘরের আশেপাশে জল না জমতে দেওয়ার ব্যবস্থা নিন এবং মশারি ব্যবহার করুন এবং শরীর ঢাকা জামাকাপড় পরুন।