ত্বকে বয়সের ছাপ? শুধু দামি ক্রিম মাখলেই কাজ হবে না, বদলাতে হবে লাইফস্টাইল |
আফগানি ঝঞ্ঝায় শীতের কামড়, পহলগাম, গুলমার্গ, সোনামার্গ জমে বরফ, কুয়াশায় উড়ান বাতিল
সোনামার্গ জমে বরফ, কুয়াশায় উড়ান বাতিল
কলকাতাতেই যখন শীতের বাতাস হাড়ে বিঁধছে, তখন উত্তর ভারতের পরিস্থিতি সহজেই অনুমান করা যেতে পারে। মঙ্গলবারও দিল্লিতে ঘন কুয়াশায় ২০০-র বেশি উড়ান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। ভোরের দিকে কুয়াশায় জেরে হরিয়ানার সোনিপতের বহলগড়ে দিল্লি-সোনিপত সড়কের উপর পরপর গাড়ির ধাক্কায় কয়েকজন আহত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কিছু ছোট-বড় গাড়ি। আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেখে রেল দফতর ট্রেন চলাচলে সাবধানবার্তা দিয়েছে। লাইভ ট্রেন মনিটরিংয়ের জন্য খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। বছর শেষে কাশ্মীর, হরিয়ানা, দিল্লি, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশের একাংশে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন।
স্থানীয়দের জীবন দুর্বিষহ করে তুললেও পর্যটনপ্রেমী মানুষের জন্য সুখবর শুনিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এদিন সকালেই জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখে বিস্তীর্ণ এলাকা ছিল হিমাঙ্কের নীচে। এদিন সন্ধ্যা থেকে কাশ্মীর ও লাদাখে ভারী তুষারপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। পহলগামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মাইনাস ১.২ ডিগ্রি, গুলমার্গে ছিল মাইনাস ১.৬ ডিগ্রি এবং সোনামার্গে ০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পুলওয়ামায় মাইনাস ১.১ ডিগ্রি, শ্রীনগরে ১ ডিগ্রির সামান্য নীচে। শ্রীনগর বিমানবন্দর এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে, লেহ্-তে ছিল মাইনাস ৮.৪ ডিগ্রি, কারগিলে মাইনাস ৭.৯, নুব্রা উপত্যকায় মাইনাস ৪.২ সেলসিয়াস।
এদিন সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১১৮টি উড়ান বাতিল হয়েছে। ২০০-র বেশি উড়ান ছাড়তে দেরি হয়েছে। ১৮টি উড়ানকে অন্যত্র নামাতে হয়েছে। সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বিমানবন্দরের রানওয়েতে দৃশ্যমানতা ছিল ৩৫০ মিটার।
হরিয়ানা, দিল্লি, পাঞ্জাবে এদিন ভোররাত থেকে বেলা দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশা ছিল। আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। সূর্যের দেখা প্রায় মেলেনি বলাই চলে। দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়েতে দৃশ্যমানতা ৫০ মিটারের নীচে নেমে আসে। দিল্লিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭-৯ ডিগ্রিতে নেমে এসেছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বছরশেষের রাত ও ইংরেজি নববর্ষে শৈত্যপ্রবাহ চলবে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, পশ্চিম মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, হিমাচল প্রদেশ ও ছত্তীসগড়ে।
উত্তরপ্রদেশের পূর্বাঞ্চল সহ অন্যান্য এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ চলবে। নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত এই পরিস্থিতি চলবে বলে তারা জানিয়েছে। আবহাওয়াবিদদের মতে, আচমকা তাপমাত্রা নেমে যাওয়ার কারণ হল, হিমালয় পার্বত্য এলাকা থেকে শীতল ও শুষ্ক বায়ুপ্রবাহ নীচের দিকে নেমে আসতে থাকায়। আবহাওয়াবিদ মহম্মদ দানিশ জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশের অনেক জায়গায় স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক নীচে নেমে গিয়েছে তাপমাত্রা। কোথাও কোথাও ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। আফগানিস্তানে একটি সক্রিয় পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। এর কারণেই উত্তর ভারত জুড়ে শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশা নেমে এসেছে। এদিন থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত হিমালয় পার্বত্য এলাকায় তুষারপাতের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী তুষারপাত হতে পারে সোলাং নালা, অটল টানেল এবং রোটাং পাস ও মানালিতেও।