‘বাংলাদেশি বলে পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে’, গুরুগ্রামের পরিযায়ী শ্রমিকের বার্তায় আতঙ্ক আলিপুরদুয়ারে |
বর্ষা এলেও বাজারে নেই পদ্মার ইলিশ, মন খারাপ ভোজন রসিকদের
বাজারে ইলিশের আকাল
বর্ষা উত্তরবঙ্গে প্রবেশ করছে, দক্ষিণবঙ্গ পেরিয়ে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে আকাশের ভেজা আমেজ। তবে এই প্রাকৃতিক আনন্দের সঙ্গেই ভোজন রসিকদের মনে জমছে হতাশার মেঘ। কারণ, এবারের বর্ষায় বাজারে নেই সেই কাঙ্ক্ষিত ‘রুপালি শস্য’, পদ্মার ইলিশ।
উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার শিলিগুড়ির রেগুলেটেড মার্কেট রাজ্যের অন্যতম বড় কাঁচা বাজার। এখান থেকেই শাকসবজি, ফল, মাছ পৌঁছে যায় পাহাড়ি অঞ্চল দার্জিলিং, সিকিম ও প্রতিবেশী আসামে। বর্ষা এলেই এই বাজারের তারকা হয়ে ওঠে ইলিশ, বিশেষত বাংলাদেশের পদ্মা নদীর ইলিশ।
কিন্তু এবছর পরিস্থিতি সম্পূর্ণ উল্টো। বাজারে নেই সেই চেনা ইলিশের ভিড়, নেই ক্রেতাদের হুড়োহুড়ি। হোলসেল মার্কেটের সম্পাদক বাপি চৌধুরী জানান, “এখন যা ইলিশ আছে তার বেশিরভাগই গুজরাট ও অন্যান্য রাজ্য থেকে আসা। পদ্মার ইলিশ একেবারেই নেই, স্টক শূন্য। স্বাদেও নেই সেই চেনা গন্ধ বা তৃপ্তি।”
তিনি আরও বলেন, “ছোট ইলিশ কেজি প্রতি ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, বড় ইলিশ ১১০০ থেকে ১৬০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু সবই আসল স্বাদের বিকল্প মাত্র।” পাশাপাশি তিনি সতর্ক করেন, বাজারে অনেকেই ভিন রাজ্যের ইলিশকে ‘পদ্মার ইলিশ’ বলে বিক্রি করছেন, যা প্রতারণা।
বাংলাদেশের পদ্মা নদীর ইলিশ তার অতুলনীয় স্বাদ ও ঘ্রাণের জন্য বিখ্যাত। কিন্তু এ বছর ওপার বাংলাতেও সরবরাহ কম। জলবায়ুর অনিশ্চয়তা ও আন্তর্জাতিক টানাপোড়েনের কারণে পশ্চিমবঙ্গে পদ্মার ইলিশ প্রায় আসছেই না।
এখন পর্যন্ত ওপার বাংলা থেকে কিছু পাবদা মাছ এসেছে, কিন্তু ইলিশ একেবারেই নেই। ফলে প্রশ্ন উঠছে, পুজোর আগে আদৌ কি পদ্মার ইলিশ বাজারে দেখা দেবে? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে উত্তরবঙ্গের রান্নাঘর থেকে শুরু করে মাছপ্রেমীদের মনে।
বর্ষা যতই প্রবল হোক, যদি শিলিগুড়ির বাজারে না নামে সেই বহু আকাঙ্ক্ষিত পদ্মার ইলিশ, তবে এবারের উৎসবের রসনা আনন্দ যে কিছুটা ফিকে হয়ে যাবে, তা বলাই বাহুল্য।