ধসে বিপর্যস্ত রাস্তা
ফের স্তব্ধ হয়ে গেল শিলিগুড়ি-সিকিমগামী ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার বর্ষণে জাতীয় সড়কের একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে বলে খবর। পরিস্থিতি যা, তাতে নতুন করে রাস্তাটি সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পাহাড়ে বৃষ্টির জেরে শনিবার নতুন করে ধস নামে ১০ মাইলের তারখোলা এলাকায়। পাহাড়ের উপর থেকে জাতীয় সড়কে বোল্ডার আছড়ে পড়ে একাধিক জায়গায়। ফলে শিলিগুড়ি থেকে সিকিম এবং সিকিম থেকে কালিম্পং, যান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পংয়ের মধ্যে গাড়ি চলাচল করলেও, শ্বেতিখোলায় রাস্তা অনেকটাই গিলে খেয়েছে তিস্তা। ফলে জায়গাটি বিপজ্জনক হয়ে রয়েছে। যে কোনও সময় রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে, তিস্তায় জল বাড়তে শুরু করেছে।
২০২৩ এর অক্টোবরের পর থেকে বারবার বিপর্যস্ত এই জাতীয় সড়ক। আগে রাজ্যের দায়িত্বে থাকলেও এখন তা কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে দেখভালের জন্য। তারপরও রাস্তার হাল বেহাল। ন্যাশনাল হাইওয়ে অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেডের (এনএইচআইডিসিএল) তরফে জানা গিয়েছে, নিয়মিত ধস নামতে থাকায় কাজ এগোচ্ছে না।
দিন কয়েক আগে সেবক ও কালিঝোরার মাঝে জাতীয় সড়কে বোল্ডার পড়ে পুরো রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল। একটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রশাসন যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়। পরদিন বোল্ডার সহ ধস সরিয়ে পুনরায় যানবাহনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এবার ধস নেমেছে বিরিকদাড়ায়। এখানে অবশ্য আগেও অনেকবার ধস নেমেছে। এর আগে সিকিমে টানা বৃষ্টি ও ধসের জেরে বিপদে সেখানে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকরা। ধসের জেরে বিপর্যস্ত হয়েছিল উত্তর সিকিমের একাধিক এলাকা। কোথাও রাস্তা ভেঙে পড়েছে, কোথাও পাহাড়ে ধস নেমেছে। তার জেরে সেখান থেকে সড়কপথ ধরে বাইরে আসতে পারছেন না পর্যটকরা। তাঁদের উদ্ধারকার্য শুরু করতে নামতে হয় সেনাবাহিনীকে।