লাল সতর্কতা জারি তিস্তায়, রাস্তায় বইছে নদীর জল! ভূমিধসে অবরুদ্ধ সেবক |
মন্ত্রী চন্দ্রনাথকে গ্রেফতারের পথে ইডি? নিয়োগ দুর্নীতির কোটি টাকার খোঁজে মুরারইতে তল্লাশি
মন্ত্রী চন্দ্রনাথকে গ্রেফতারের পথে ইডি?
বীরভূমের মুরারই (Murroi ) ২ ব্লকের কিষান মান্ডিতে (Kisan Mandi) শুক্রবার হানা দিল ইডি (ED)। সূত্রের খবর, রাজ্যের কারামন্ত্রী তথা বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিনহার (Minister Chandranath Sinha) জমি ও সম্পত্তি ঘিরে এ দিন কৃষি আধিকারিকদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন তদন্তকারীরা। নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় (Recruitment Scam) নাম জড়ানোর পর থেকেই চন্দ্রনাথের আর্থিক উৎস নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে।
ইডি-র দাবি, প্রায় ১৫৯ জন প্রার্থীর কাছ থেকে গড়ে ৮ লক্ষ টাকা করে নিয়েছিলেন মন্ত্রী। অঙ্ক দাঁড়ায় প্রায় ১২.৭২ কোটি টাকা। এত বিপুল অর্থ কোথায় গেল—তার কোনও সন্তোষজনক ব্যাখ্যা এখনও পর্যন্ত দিতে পারেননি তিনি, বলেই অভিযোগ তদন্তকারী সংস্থার। ইডি সূত্রের আরও দাবি, ওই টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নেই, জমি বা সম্পত্তির খতিয়ানেও নেই হদিস। স্বাভাবিক ভাবেই জল্পনা বাড়ছে, এত টাকা গেল কোথায়!
গত সপ্তাহেই আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছিলেন চন্দ্রনাথ। আদালত অবশ্য কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছে—নিজের বিধানসভা কেন্দ্র ও কলকাতা ছাড়া অন্যত্র যেতে পারবেন না, তদন্তে পুরোপুরি সহযোগিতা করতে হবে। এরই মধ্যে ফের মুরারইয়ে গিয়ে তল্লাশি শুরু করল ইডি।
কীভাবে এই মামলায় জড়ালেন মন্ত্রী? আদালতে ইডি জানিয়েছিল, বহিষ্কৃত তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষের জবানবন্দিতেই প্রথম উঠে আসে তাঁর নাম। তারপরই তদন্তকারীরা চোখ রাখেন চন্দ্রনাথের অ্যাকাউন্টে। সেখানে ধরা পড়ে একাধিক বড়সড় লেনদেন।
চন্দ্রনাথ অবশ্য দাবি করেছেন, কৃষি এবং ব্যবসার মাধ্যমেই ওই টাকা এসেছে। কিন্তু ইডির সাফ মন্তব্য—যতটা দাবি করছেন মন্ত্রী, নথিতে তার প্রমাণ নেই। ফলে নিয়োগ দুর্নীতির টাকার সঙ্গে তাঁর নাম জড়িয়ে পড়া ‘অস্বাভাবিক নয়’।
সূত্রের খবর, তল্লাশি অভিযানে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। যার জেরে মন্ত্রীর গ্রেফতারির সম্ভাবনা ক্রমশ জোরাল হচ্ছে বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর।