পুর নিয়োগ দুর্নীতির ছায়া?
পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে (Municipality recruitment scam) যুক্ত থাকার অভিযোগে ফের টাকার পাহাড়ের সাক্ষী কলকাতা। তারাতলার ব্যবসায়ীর বাড়ি ও অফিসে ইডির (ED raid) হানায় উদ্ধার হয়েছে ১ কোটি ৫০ লক্ষ নগদ টাকা। শুধু তাই নয়, সংস্থার মালিক গৌতম ধন্ধানিয়ার লেকটাউনের (Lake Town) বিলাসবহুল ফ্ল্যাট থেকে পাওয়া গেল ১০ কেজিরও বেশি সোনার গয়না (gold seized) ও বার উদ্ধার হয়েছে, যার বাজারমূল্য ১০ কোটিরও বেশি।
ইডি সূত্রে খবর, ‘রেডিয়েন্ট এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেড’ নামক সংস্থাটি থেকে উদ্ধার হওয়া সোনার মধ্যে রয়েছে অসংখ্য গয়না। তবে এই বিপুল সম্পদের কোনও বৈধ হিসাবপত্র বা ইনভয়েস দিতে পারেনি ব্যবসায়ী পরিবার। ফলে আরও গভীর হচ্ছে সন্দেহ।
মঙ্গলবার রাত থেকে এই অভিযান চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তদন্তকারীদের ধারণা, এই ব্যবসায়ী পরিবারটি এক প্রভাবশালী মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ, যিনি পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকতে পারেন। ইতিমধ্যেই ইডির দপ্তরে গৌতম ধন্ধানিয়া ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে।
সূত্রের দাবি, তাঁর কোম্পানির মাধ্যমে অবৈধ নিয়োগের টাকা ঘুরপথে বিনিয়োগ করা হয়েছিল, যার হদিশ মিলতেই একযোগে তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। সূত্রের খবর, গোটা ঘটনাই জড়িত পুর নিয়োগ দুর্নীতির অর্থচক্রের সঙ্গে।
জানা গিয়েছে, তারাতলার অফিস থেকেই উদ্ধার হওয়া প্রায় ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা রাখা হয়েছিল একটি গোপন স্থানে। কেবল তাই নয়, সেই অর্থের উৎস নিয়েও সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পারেননি অফিস কর্তারা।
ইডি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তল্লাশি এখনও চলছে। তাই পরবর্তী পর্যায়ে আরও বিপুল পরিমাণ অর্থ বা সম্পদ উদ্ধার হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজনৈতিক মহলে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে চাপানউতর। কে সেই মন্ত্রী, যাঁর সঙ্গে এই ব্যবসায়ীর যোগ, তা নিয়েই জোর আলোচনা চলছে।
বস্তুত, চলতি মাসের শুরুতেই কলকাতার অন্তত ১০টি জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি। সল্টলেক সেক্টর ওয়ানের একটি ভবনেও তল্লাশি চালানো হয়। ওই ভবনেই রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুর অফিস। তাছাড়া নাগেরবাজার এলাকায় এক কাউন্সিলরের বাড়ি, ঠনঠনিয়ার একটি বাড়িতেও গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। তল্লাশি চলে শরৎ বোস রোড, নিউ আলিপুরের একাধিক ঠিকানাতেও।