অসম নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের
আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গ-সহ পাঁচটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নির্বাচন। এই পাঁচটির মধ্যে চারটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিশেষ নিবিড় সংশোধন(SIR) প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু, সেখানে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরুর ঘোষণা করেনি জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কমিশন এই নিয়ে যুক্তি দিলেও রাজনৈতিক চাপানউতোর বাড়ে। এবার অসম নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের।
এদিন কমিশনের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, অসমে ভোটার তালিকার ‘বিশেষ সংশোধন’ হবে। এই বিশেষ সংশোধনের জন্য আগামী ২২ নভেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি যাবেন বিএলও-রা। ২৭ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। আর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি।
বিশেষ সংশোধন কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কমিশন প্রতি বছর ‘অ্যানুয়েল স্পেশাল সামারি রিভিশন’ করে। আবার কয়েক বছর অন্তর এসআইআর করে। এই দুইয়ের মাঝামাঝি হল ‘বিশেষ সংশোধন’। এসআইআরের মতো এখানে ভোটারদের এনুমারেশন ফর্ম পূরণ করতে হবে না। পূর্বে পূরণ করা রেজিস্টারে ভোটারদের তালিকা খতিয়ে দেখবেন বিএলও-রা।
কমিশনের তরফে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, যাতে কোনও বৈধ ভোটারের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ না যায় এবং কোনও অবৈধ ভোটারের নাম তালিকায় থেকে যায়, সেজন্য এই বিশেষ সংশোধন করা হচ্ছে। বাড়ি বাড়ি ঘুরে মৃত ভোটার, একাধিক জায়গায় ভোটার তালিকায় নাম এবং যেসব ভোটার স্থানান্তরিত হয়েছেন, তাঁদের তালিকা খতিয়ে দেখবেন বিএলও-রা।
গত ২৭ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১২টি রাজ্যে এসআইআর শুরুর ঘোষণা করে কমিশন। ভোটমুখী অসমে কেন এসআইআর হচ্ছে না, সেই প্রশ্ন ওঠে। সেইসময় কমিশনের তরফে যুক্তি দেওয়া হয়, আদালতের নির্দেশে অসমে এনআরসি হচ্ছে। তাই, সেই রাজ্যে এসআইআর প্রক্রিয়া আপাতত হচ্ছে না। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার বলেছিলেন, “সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্ববধানে অসমে নাগরিকত্বের যাচাইকরণ বা এনআরসি একেবারে শেষ পর্যায়ে। আর গোটা দেশের জন্য এসআইআর সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি যেহেতু ২৪ জুন প্রকাশিত হয়েছিল, তাই তা অসমে প্রযোজ্য হচ্ছে না।” কমিশনের এই যুক্তি নিয়ে অবশ্য বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করে। তারপর এদিন অসমে বিশেষ সংশোধনের ঘোষণা করল।