অমিত শাহকে ফোন করে রিপোর্ট নিলেন মোদী, ঘটনার তদন্তভার পেল এনআইএ |
লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণ, দিল্লিতে তীব্র আতঙ্ক! ২,৯০০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার, গ্রেফতার মহিলা চিকিৎসক
লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণ
কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী জমানায় প্রথমবার রাজধানী দিল্লিতে (Delhi) সন্ত্রাসবাদী হামলার আতঙ্ক ছড়াল। সোমবার সন্ধেয় লালকেল্লা (Red Fort) সংলগ্ন এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ (Explosion in Red fort area) ঘটে! ঘটনাস্থল মেট্রো স্টেশনের (explosion near Delhi Metro station) কাছাকাছি। দিল্লির পুরনো শহরের এই এলাকায় হঠাৎ বিস্ফোরণে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। বিস্ফোরণের সময়ই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা দিল্লিতে বড়সড় জঙ্গি হামলার ছক ভেস্তে দেওয়ার দাবি করেছে। ঠিক সেই দিনই এই বিস্ফোরণ ঘটায় আতঙ্ক (panic after Red fort area explosion) আরও বেড়েছে।
এরই মধ্যে উঠে এসেছে আরও মারাত্মক তথ্য। জম্মু ও কাশ্মীর ও হরিয়ানা পুলিশের যৌথ অভিযানে (JK and Haryana Police joint operation) ধরা পড়েছেন দুই চিকিৎসক এবং এক মহিলা চিকিৎসক (female doctor arrested)। তাদের জইশ-ই-মহম্মদ (Jaish-e-Mohammad) ও আনসার গজওয়াত-উল-হিন্দ (Ansar Ghazwat-ul-Hind)-এর আন্তর্জাতিক জঙ্গি মডিউলের সঙ্গে যুক্ত থাকার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে পুলিশ।
প্রথমে পাওয়া গেছিল ৩৬০ কেজি বিস্ফোরকের হদিস। কিন্তু তদন্ত এগোতেই জানা যায়, মোট ২ হাজার ৯০০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার (2,900 kg explosives recovered) হয়েছে! ফরিদাবাদের আল ফালাহ মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক ডা. মুজাম্মিল শাকিলের ভাড়া করা বাড়ি থেকেই এই বিস্ফোরক মজুত পাওয়া যায়। তিনি তিন মাস আগে বাড়িটি ভাড়া নিয়েছিলেন।
ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন ফরিদাবাদের চিকিৎসক মুজাম্মিল, আরও এক কাশ্মীরি চিকিৎসক এবং এক ইমাম। খোঁজ মিলেছে এক মহিলা চিকিৎসকেরও, শাহিন নামে পরিচিত তিনি। তাঁর কাছ থেকেও গুরুত্বপূর্ণ সূত্র মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, অভিযানে উদ্ধার হয়েছে -
- ১৪ বস্তা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট (প্রায় ১০০ কেজি)
- একটি একে-৪৭ রাইফেল ও ৮৪ রাউন্ড গুলি
- কয়েকটি টাইমার ও রাসায়নিক দ্রবণ
- ৪৮টি সম্ভাব্য আইইডি তৈরির উপকরণ
- ব্যাটারি ও তারের বান্ডিল
এছাড়াও ওই মহিলা চিকিৎসকের গাড়ি থেকে একে ফরটি সেভেন রাইফেল উদ্ধার হয়।
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের মুখপাত্র জানিয়েছেন, “তদন্তে উঠে এসেছে এক ভয়ঙ্কর হোয়াইট-কলার টেরর ইকোসিস্টেম - যেখানে শিক্ষিত পেশাজীবী ও ছাত্ররা বিদেশি যোগাযোগের মাধ্যমে অর্থ ও অস্ত্র পাচার করত।”
তদন্তে আরও জানা গেছে, জঙ্গি নেটওয়ার্কটি ‘সামাজিক ও দাতব্য কাজ’-এর আড়ালে চলত। অর্থের লেনদেন হতো চিকিৎসা ও একাডেমিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে।
উদ্ধার হওয়া সব বিস্ফোরক ও অস্ত্র ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ, অস্ত্র আইন এবং বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা রুজু হয়েছে।