বলির পাঁঠা করা হচ্ছে সরকারি কর্মচারীদের
রাজ্যে এসআইআর (SIR West Bengal) ঘোষণার পর থেকেই অসন্তোষ ধরা পড়েছিল বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলও-দের (BLO) মধ্যে। সেই জল গড়িয়েছে শনিবার নজরুল মঞ্চে চূড়ান্ত ট্রেনিংয়ের মধ্যেও। অধিকাংশ বিএলও-দের অভিযোগ, তাঁদের স্কুলে গরহাজির দেখানো হচ্ছে। কিন্তু, নির্বাচন কমিশন (ECI) স্পষ্ট করে বলে দিয়েছে যে এসআইআর পর্বে বিএলও-রা অন ডিউটি থাকবেন, তারপরও কেন কাজের কাজ কিছু করা হচ্ছে না, সেই নিয়েও সরব হয়েছেন তাঁরা। এই ইস্যুতে অবস্থান স্পষ্ট করেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চও (Sangrami Joutho Mancha)।
সংগঠনের বক্তব্য, এসআইআরের কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তাঁদের নিজস্ব হেল্প ডেস্কও আছে। কিন্তু গোটা প্রক্রিয়া নিয়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছে তাঁরা। দাবি, নির্দিষ্টভাবে এই কাজ করানোর কর্মী নেই নির্বাচন কমিশনের কাছে। শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের অসুবিধা হবে স্বাভাবিক। তাই তাদের সাসপেন্ড করার ভয় দেখানোর বিষয়টি অনৈতিক। এমন কোনও অর্ডার নেই।
জাতীয় নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য ছিল, বিহারে কোনও প্রস্তুতি ছাড়া এসআইআর সম্পন্ন হয়েছে সুশৃঙ্খলাভাবে। তাহলে বাংলায় কেন হবে না। তবে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ বলছে, বিহার আর বাংলায় সমস্যা এক নয়। এখানে সমস্যা আরও গুরুতর তাই বিক্ষোভ হচ্ছে। রাজ্য সরকার দায়িত্ব পালন করছে না। বলির পাঁঠা করা হচ্ছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের।
ইতিমধ্যে রাজ্যজুড়ে চলছে বুথ-স্তরের আধিকারিক বা বিএলওদের (BLO) প্রশিক্ষণ। তাঁদের শেখানো হচ্ছে কীভাবে ঘরে ঘরে গিয়ে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করতে হবে এবং সেই তথ্য নির্দিষ্ট অ্যাপে আপলোড করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, এই প্রক্রিয়াই ঠিক করবে কোন ভোটারের নাম ভোটার তালিকায় থাকবে আর কারা বাদ পড়বেন।
সূত্রের খবর, BLO-দের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়েও নিয়মিত সমন্বয় চলছে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে। এই বিষয়ে নজর রাখছেন রাজ্য পুলিশ নোডাল অফিসার এডিজি আনন্দ কুমার। নির্বাচন কমিশনের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই প্রায় ৮৫% এনুমারেশন ফর্ম ছাপা হয়ে গিয়েছে। বাকি মুদ্রণ প্রক্রিয়া ২ নভেম্বরের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা।
এরই মধ্যে শুক্রবার একটি বড় প্রশিক্ষণ বৈঠক হয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন ২৯৪ জন ইআরও, ৩ হাজারেরও বেশি এইআরও, রাজ্যের ২৪ জন জেলা শাসক তথা ডিইও ও এডিএমরা। সভায় রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়ালও উপস্থিত ছিলেন।