বাঙালি আবেগে শান নির্মলার!
বাংলার দেবীপক্ষের কথা মাথায় রেখেই নয়া জিএসটি কাঠামো কার্যকরের দিনক্ষণ ঠিক করেছে মোদী সরকার (Modi Government)। কলকাতায় জাতীয় গ্রন্থাগারের শ্য়ামাপ্রসাদ মুখোপাধ্য়ায় ভাষা ভবনে আয়োজিত একটি সম্মেলনে যোগ দিয়ে এমনটাই বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)।
এদিন তিনি বলেন, ‘আমাকে অনেকেই একাধিক তারিখ প্রস্তাব করেছিল। কেউ বলেছিলেন, ১০ তারিখ থেকে করুন। কেউ বলেছিলেন ১৫ তারিখ থেকে কার্যকর করুন। কিন্তু আমি বলেছিলাম, দাঁড়ান। বাংলায় পুজো কবে থেকে শুরু হচ্ছে? পিতৃপক্ষের পর দিন থেকে। সুতরাং নতুন জিএসটি প্রথম শুভ দিন হবে নবরাত্রির প্রথম দিন। অর্থাৎ মহালয়ার পরের দিন। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেপথ্যে বাংলার একটা প্রভাব রয়েছে।’
চলতি মাসের গোড়ায় জিএসটির কাঠামোয় বড় বদল এনেছে কেন্দ্রীয় সরকার। নতুন কাঠামোয় জটিলতা দূর করে মূল দু’টি করের হারের কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। যা কার্যকর হবে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে। নতুন কাঠামোয় থাকছে ৫ শতাংশ এবং ১৮ শতাংশ কর। বাদ পড়েছে ১২ শতাংশ এবং ২৮ শতাংশ হারের কর। যার জেরে আগে যে সকল পণ্য ১২শতাংশ করের আওতায় ছিল, তা নেমে এসেছে ৫ শতাংশের হারে। যেগুলি ২৮ শতাংশ কর কাঠামোর অন্তর্গত ছিল সেগুলি নেমে এসেছে ১৮ শতাংশে। এছাড়াও আরও একটি নতুন কর কাঠামো এনেছে কেন্দ্র। নাম দিয়েছে ‘সিন ট্য়াক্স’ বা ‘পাপের পণ্য়’। বিভিন্ন বিলাসবহুল সামগ্রী এবং কিছু ক্ষেত্রে তামাকজাত দ্রব্যকে এই কাঠামোর অন্তর্গত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
তবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর মুখে এই এই বাংলা-বাঙালি প্রসঙ্গকে ভোটের বাজার গরম করার সঙ্গে তুলনা করছেন একাংশ। কেউ কেউ বলছেন, সামনেই নির্বাচন, তাই বিহারের মতো বাংলাকেও যে বিজেপি ‘উপহার’ দিতে ভোলেনি, সেই কথাটাই মনে করিয়ে দিয়েছেন নির্মলা। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল আবার তুলে ধরলেন কুফল-সুফলের কথা। তাঁর দাবি, ‘আজ উনি যে সুফল বোঝাচ্ছেন, সেটা তো ছিল কুফল। সুফলটা এনেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। অর্থাৎ উনি যে জিএসটির কাঠামো করেছিলেন, তাতে ধনীতম ব্যক্তিদের ব্যবহৃত পণ্যে জিএসটি নেই বা কম। আর দরিদ্র শ্রেণির পণ্য়ে জিএসটি বেশি। তৃণমূল কংগ্রেস বলার পর উনি তা সংশোধন করতে বাধ্য হয়েছেন।