নীতীশকে নিয়ে খাড়্গে
বিহার নির্বাচনের (Bihar Election) প্রচারের সুর আরও ভারী করল কংগ্রেস (Congress)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) কটাক্ষের ঠিক পরদিনই পাল্টা আক্রমণে গেল তাঁরা। সোমবার বৈশালীর সভা থেকে দলীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের (Mallikarjun Kharge) তোপ - বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে নীতীশ কুমার ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করছেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সিংহাসন হাতছাড়া হবেই।
খাড়্গের অভিযোগ, “নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) এখন বিজেপির কোলে বসে আছেন। কিন্তু তাতেও তিনি মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারবেন না। সেই চেয়ার তুলে দেওয়া হবে কোনও ‘চ্যালাকে'। দীর্ঘ দুই দশকের প্রশাসনকে নিশানা করে তাঁর মন্তব্য, বারবার শপথ নিয়েও নীতীশ কুমার রাজ্যের কর্মসংস্থান বা যুবকদের বেকারত্ব রোধে কোনও বাস্তব পরিবর্তন আনতে পারেননি। তাই তাঁকে এবার ছুড়ে ফেলে দেবেন মানুষ।
কংগ্রেস সভাপতির এও কটাক্ষ, জয়প্রকাশ নারায়ণ, রাম মনোহর লোহিয়া ও কর্পূরী ঠাকুরের মতো ব্যক্তিত্বের আদর্শ ভুলে আজ নীতীশ 'মহিলা-বিরোধী' দলের পাশে দাঁড়িয়েছেন। ফলে দলিত, ওবিসি ও ইবিসি সমাজের স্বার্থ রক্ষার নৈতিক শক্তিও আর নেই তাঁর।
সভায় প্রধানমন্ত্রী মোদীকেও আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, “দেশের অবস্থা দেখার সময় নেই, কিন্তু ভোট এলে যেন নিজের সন্তানের বিয়ে চলছে - এমন ব্যস্ততা।” মিউনিসিপ্যাল ভোট থেকে বিধানসভা, সব জায়গাতেই প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন প্রধানমন্ত্রী, এমন ইঙ্গিত দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, আগামী ৬ নভেম্বর প্রথম দফায় ১২১টি আসনে এবং ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় বাকি আসনে ভোট বিহারে। গণনা হবে ১৪ নভেম্বর। ভোটের মুখে বিরোধী শিবিরের তীব্র মন্তব্যে স্পষ্ট - বিহারে লড়াই আরও উত্তেজক হতে চলেছে।
রবিবারই বিহারে প্রচারে গিয়ে কংগ্রেসকে তীব্র কটাক্ষ করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। আরাহ-র এক জনসভা থেকে তিনি অভিযোগ করেন, পাকিস্তানে বিস্ফোরণের সময় কংগ্রেসের (Congress) ‘রাজপরিবারের’ ঘুম উড়ে গিয়েছিল। তাঁর কটাক্ষ, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) পরও পাকিস্তান ও কংগ্রেসের নামদাররা এখনও ঘোর কাটিয়ে উঠতে পারেনি।
রবিবারের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শুধু বিরোধী জোটকে আক্রমণ করেননি, এনডিএ (NDA) সরকারের উন্নয়নমূলক কাজগুলিও তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, 'বিহারের মানুষ রেকর্ড সংখ্যক ভোটে এনডিএ সরকারকে আবার ক্ষমতায় আনবে। এই সরকার সৎভাবে কাজ করবে, দূরদর্শী পরিকল্পনায় এগোবে এবং বিহারকে একটি উন্নত রাজ্যে পরিণত করবে। আমাদের লক্ষ্য ‘বিকশিত ভারত’, আর তার প্রথম ধাপ হচ্ছে ‘উন্নত বিহার’।"