হিমাচলে মেঘভাঙা বৃষ্টি
বেশ কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি চলছে হিমাচল জুড়ে। সোমবার রাত থেকে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়েছে। পর পর মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত গোটা এলাকা। প্রবল বৃষ্টির জেরে বেশ কয়েকটি জায়গায় ধস নেমেছে বলে সূত্রের খবর। ভেসে গিয়েছে একাধিক ঘরবাড়ি। হিমাচল সরকারের হিসেব অনুযায়ী গত ২০ জুন থেকে এখনও পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে। নিখোঁজ বহু মানুষ। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ভয়াবহ হিমাচলে।
জানা গিয়েছে, সোমবার রাত থেকে শুরু হওয়া প্রবল বৃষ্টিতে মান্ডি জেলার বিভিন্ন এলাকায় নেমেছে ধস। কারসোগ, সেরাজ এবং ধরমপুর এলাকায় কার্যত ব্যাহত স্বাভাবিক জীবন। ভেঙেছে সেতু। ভূমিধসের কারণে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে গিয়েছে অনেক বাড়ি। ক্ষতিগ্রস্ত বেশ কিছু যানবাহনও।
ভারী বৃষ্টিপাত এবং ভূমিধসের কারণে স্তব্ধ কিতারপুর-মানালি জাতীয় সড়ক। যার প্রভাব পড়েছে যান চলাচলে। বহু যাত্রী রাতভর ওই টানেলে আটকা পড়েছিলেন। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে, প্রশাসনের তরফে মঙ্গলবার মান্ডি জেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একদিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন এবং রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, চম্বা, কাংড়া, কুল্লু, মন্ডী, শিমলা, সৌলান, সিরমৌর জেলায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হবে। রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়াগায় বৃষ্টির চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ৬ জুলাই পর্যন্ত এই পরিস্থিতি চলতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর জানিয়েছে, ভূমিধসের জেরে মন্ডী এবং সিরমৌরে মোট ২৫৯টি রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মন্ডীতে পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ। মঙ্গলবার স্কুল-কলেজগুলিতে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।