উচ্চ মাধ্যমিকে ৮০%-এর বেশি নম্বর, ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুটার দিয়ে হিমন্ত
উচ্চ মাধ্যমিকে (Higher Secondary Exam) ৮০ শতাংশের বেশি নম্বর পাওয়া মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের (Student) উৎসাহ দিতে ফের স্কুটার বিলি করল অসম সরকার (Assam Government)। সোমবার গুয়াহাটিতে একটি অনুষ্ঠানে ১১,২৫০ জন ছাত্রছাত্রীর হাতে স্কুটারের (Scooter) চাবি তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Assam Chief Minister Himanta Biswa Sarma )।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ডা. বনিকান্ত কাকতি মেরিট অ্যাওয়ার্ড প্রকল্পের বাস্তবায়নে কিছু ‘সামান্য পরিবর্তন’ আনা হয়েছে। তার জেরেই গত বছরের তুলনায় সুবিধাভোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে ৪৮,৬৭৩ থেকে নেমে এ বার দাঁড়িয়েছে ১১,২৫০-এ। তাঁদের মধ্যে ৬,৮৬০ জন ছাত্রী, বাকিরা ছাত্র (Student)।
তবে মুখ্যমন্ত্রীর (Himanta Biswa Sarma) দাবি, মেয়েদের জন্য ‘নিজুত মইনা’ প্রকল্পে ইতিমধ্যেই পাঁচ লক্ষের বেশি ছাত্রী উপকৃত হয়েছেন। তিনি বলেন, “ছেলেদেরও পড়াশোনায় (Education) উৎসাহ দিতে পয়লা জানুয়ারি থেকে মেয়েদের মতোই ছেলেদের জন্য একটি নতুন পরিকল্পনা চালু করা হবে। এতে অসমের শিক্ষাক্ষেত্রে (Assam Education) আরও ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি হবে।”
২০১৭-১৮ থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষ (Financial Year) পর্যন্ত এই মেরিট স্কিমে রাজ্য সরকার (Assam Govt) মোট ১,৮৬,৪৪২ ছাত্রছাত্রীকে স্কুটার দিয়েছে। খরচ হয়েছে প্রায় ১,০৪৩ কোটি টাকা।
এ দিন স্কুটারের (Scooter Assam) চাবি তুলে দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে দু’টি ‘গোল্ডেনরুল’ও (Golden Rule) মনে করিয়ে দেন হিমন্ত (Himanta Biswa Sarma)। এক, লাইসেন্স (License ) না পাওয়া পর্যন্ত স্কুটার একদম চালানো যাবে না। আর দুই, স্কুটার চালানোর (Helmet) সময় সবসময় মাথায় যেন হেলমেট থাকে।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “নেতিবাচক মানসিকতা পড়াশোনায় বাধার সৃষ্টি করে। যে ছাত্ররা সব সময়ে ইতিবাচক ভাবতে শেখে, তাদের আত্মবিশ্বাস অনেক বেশি দৃঢ় হয়।”
অসম সরকারের দাবি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, দুই ক্ষেত্রেই রাজ্য এখন ‘ঐতিহাসিক অগ্রগতি’র পথে। শর্মা বলেন, “অসমে বর্তমানে ২৫-এর বেশি মেডিক্যাল কলেজ (Medical College) রয়েছে, যার ১৫টি চালু, ১০টি নির্মীয়মাণ। চিকিৎসা-শিক্ষায় (Medical Education) আসন সংখ্যা ২,০০০ থেকে ২০৩০ সালে পৌঁছবে ৫,০০০-এ।”
উচ্চশিক্ষার পরিকাঠামো নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এক সময় অসমের ছেলে-মেয়েদের উচ্চশিক্ষার জন্য পুণে-সহ নানা শহরে যেতে হত। এখন রাজ্যে দু’টি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ২৫-২৬টি রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় (চলমান-সহ), প্রায় ৩০টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ রয়েছে, সঙ্গে আইআইটি গুয়াহাটি এবং এনআইটি শিলচর।”