তেজস্বীর সম্পত্তি কত?
বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি (RJD) নেতা তেজস্বী যাদবের Tejashwi Yadav সম্পদের পরিমাণ নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। স্থাবর-অস্থাবর তিনি প্রায় ৮ কোটি টাকা সম্পত্তির মালিক। এই বিপুল সম্পদের উৎস কী তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি কটাক্ষের সুরে প্রশ্ন তুলেছে, লালু পুত্রের ঘুষের টাকা গেল কই। তিনি তো হলফনামায় এই অর্থের কোন উল্লেখ করেননি।
পাটনার অদূরে রাঘোপুর বিধানসভা কেন্দ্রে মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র পেশ করেন তেজস্বী। সেখানে মনোনয়ন পত্রের সঙ্গে জমা করা হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেছেন, ২০২৪-'২৫ সালে তাঁর বাৎসরিক আয়ের পরিমাণ ছিল ১১ লাখ ৪৬ হাজার ৬১০ টাকা। আয়কর রিটার্নে তেজস্বী এই হিসাব পেশ করেছেন। ২০২১-'২২ সাল থেকে আয়কর রিটার্নের ধারাবাহিক হিসাব পেশ করেছেন এই নেতা। সেই হিসাবে দেখা যাচ্ছে, বিগত পাঁচ বছর ধরে সাবেক উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বীর আয় ভাল পরিমাণে বেড়েছে। ২০২০-'২১ সালে তেজস্বীর আয়ের পরিমাণ ছিল দু লাখ ১৪ হাজার টাকা।হলফনামার বিরোধী শিবিরের মুখ্যমন্ত্রী মুখ তেজস্বী জানিয়েছেন তার স্থাবর সম্পত্তির বাজারদর ছ কোটি টাকার বেশি। এছাড়া প্রায় দু কোটি টাকার অ অস্থাবর সম্পত্তি আছে।
সমাজ মাধ্যমে একাধিক জন প্রশ্ন তুলেছেন তেজস্বীর এই বিপুল সম্পদের উৎস কী। কারণ তিনি এই মুহূর্তে কোন ব্যবসা বা কারবারের সঙ্গে যুক্ত নন। বিধানসভার সদস্য হিসেবে পেনশনই একমাত্র তাঁর রোজগার। কেউ কেউ বলছেন যদি বিবাহ সূত্রে শ্বশুরবাড়ি থেকে সম্পদ পেয়ে থাকেন তবে তা যৌথ সম্পত্তির তালিকাভুক্ত হওয়ার কথা। কিন্তু তেজস্বী তাঁর স্ত্রীর রোজগারের পৃথক তালিকা ফলকনামায় জমা করেছেন।
এই সুযোগে বিজেপি এবং জেডিইউ নেতারা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, রেলের টাক জমির বিনিময়ে চাকরি এবং দুটি হেরিটেজ হোটেল বেসরকারি কোম্পানিকে লিজ দেওয়াতে তেজস্বী যে বিপুল টাকা পেয়েছেন হলফনামায় তার উল্লেখ নেই। প্রসঙ্গত দুটি মামলাতেই মূল আসামি লালু প্রসাদ যাদব তিনি ২০০৪ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত রেলমন্ত্রী থাকাকালীন জমির বিনিময়ে বহু মানুষকে রেলে চাকরি দিয়েছিলেন। এছাড়া রাঁচি ও পুরীতে অবস্থিত রেলের দুটি হেরিটেজ হোটেল বেসরকারি কোম্পানিকে বেআইনিভাবে লিজ দিয়েছেন বলে সিবিআই আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে। প্রথম মামলায় শুনানি শেষ হয়েছে। এখন সাজা ঘোষণা শুধু বাকি। দ্বিতীয় মামলায় আদালত সিবিআই চার্জশিটকে মান্যতা দিয়ে বিচার শুরু নির্দেশ দিয়েছে।