ত্বকে বয়সের ছাপ? শুধু দামি ক্রিম মাখলেই কাজ হবে না, বদলাতে হবে লাইফস্টাইল |
'২৬-এ দ্বিতীয় হব আমরা, তার আগে ১০ লক্ষের সমাবেশে বড় চমক থাকবে'! ব্রিগেড নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হুমায়ুন
ব্রিগেড নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হুমায়ুন
আগামী ২৫ থেকে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ব্রিগেডে সমাবেশ (Brigade) করবে হুমায়ুন কবীরের (Humayun Kabir) নতুন দল জনতা উন্নয়ন পার্টি (Janta Unnoyon Party)। আর এই সমাবেশে অন্তত ১০ লক্ষ লোক হবে বলে দাবি করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, আসন্ন নির্বাচনে তাঁর দল দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসবে বলেও আত্মবিশ্বাসী হুমায়ুন।
নতুন দল তৈরির আগে থেকেই হুমায়ুন বলে এসেছেন, এবারের ভোটে কোনও দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। আর দল তৈরির পর তাঁর আত্মবিশ্বাস যে বহুগুণ বেড়ে গেছে, তা বলাই বাহুল্য। হুমায়ুনের দাবি, আগামী দিনে রাজ্যে সরকার (State Govt) গঠনের ক্ষেত্রে জনতা উন্নয়ন পার্টির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হবে। তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী, তৃণমূল (TMC) তৃতীয় স্থানে নেমে যাবে, বিজেপি (BJP) একক ভাবে ১২০ পার করতে পারবে না, আর দ্বিতীয় শক্তি হিসেবে উঠে আসবে তাঁর দল।
রাজ্যের নির্বাচনে 'সেকেন্ড বয়' হওয়ার যাত্রাটা যে ব্রিগেড থেকেই হবে সে ইঙ্গিতও দিয়েছেন হুমায়ুন। জানিয়েছেন, তাঁর দলের জনসভায় বড় চমক থাকতে চলেছে। যদিও কী চমক তা না খোলসা করলেও শুধুমাত্র জানান, যাঁরা তিন বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) মুখ্যমন্ত্রী করতে ভোট দিয়েছিলেন, তাঁদের এক বড় অংশ ব্রিগেড সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন।
হুমায়ুনের কথায়, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব নয়, তবে তৃণমূলের সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ রয়েছে। তাঁরাই হবেন তাঁর দলের সম্পদ। একইসঙ্গে, জনতা উন্নয়ন পার্টির সুপ্রিমো হিসেবে হুমায়ুনের দাবি, ব্রিগেডের মঞ্চ থেকেই রাজ্যের রাজনীতিতে নতুন জোট বা রাজনৈতিক সমীকরণের ছবি স্পষ্ট হবে।
মঙ্গলবার কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। দুর্নীতি থেকে শুরু করে অনুপ্রবেশ - মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকারকে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই আক্রমণ করেছেন তিনি। মন্দির-মসজিদ নিয়ে রাজনীতি প্রসঙ্গে তৃণমূল সরকারের দিকেই আঙুল তোলেন শাহ। তাঁর বক্তব্য প্রসঙ্গে হুমায়ুনের পাল্টা, বাস্তবে বিজেপিও সেই রাজনীতির বাইরে নয়।
তৃণমূলের বহিষ্কৃত বিধায়কের কথায়, একটা কেন, দশটা মন্দির হোক, কিন্তু সরকারি টাকায় নয়। উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, রাম মন্দির কোনও সরকারি অর্থে হয়নি, সাধারণ মানুষদের অনুদানেই সেই মন্দির তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, ধর্মীয় পরিকাঠামো গড়তে হলে তা জনগণের টাকাতেই হওয়া উচিত। দুর্গাঙ্গন শিলান্যাস নিয়েই যে হুমায়ুন এমন মন্তব্য করেছেন, তা স্পষ্ট।