লকআপে গিয়ে জীবনকৃষ্ণর সঙ্গে দেখা করলেন হুমায়ুন!
নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে (Humayun Kabir) কোর্ট লকআপে (Court Lockup) গিয়ে দেখে এলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর (Jibankrishna Saha,)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার (ইডি) হেফাজতে থাকা বড়ঞার বিধায়ককে বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হয়। সেখানেই হুমায়ুনের এই ‘সদ্ভাবনা দর্শন’ ঘিরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
লকআপে গিয়ে দেখা করার ঘটনা সামনে আসতেই কৌতূহলী প্রশ্ন, তবে কি ফের শৃঙ্খলাভঙ্গের পথে হুমায়ুন কবীর? অতীতে দলীয় রণনীতির বাইরে গিয়ে একাধিকবার বিতর্কে জড়িয়েছেন ভরতপুরের বিধায়ক (Bharatpur MLA, Tmc)। এবারও কি সেই পুরনো পথেই হাঁটলেন?
তবে বিতর্ককে গুরুত্ব দিতে নারাজ হুমায়ুন। তাঁর সাফাই, “আমি নিজেও রাজনৈতিক কারণে ৮২ দিন মুর্শিদাবাদের জেলে ছিলাম। সেই সময় অনেকেই এসে দেখা করেছিলেন। তাতে কি তাঁদের পারমিশন লাগত?” জীবনকৃষ্ণ সাহার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিতেই তিনি আদালতে গিয়েছিলেন বলেই দাবি হুমায়ুনের।
তাঁর কথায়, “জীবনকৃষ্ণর পাশে থাকা দরকার মনে করেছি। তাই গিয়েছিলাম। কাউকে কোর্ট লকআপে দেখতে গেলে দলের অনুমতি লাগে, এটা জীবনে প্রথম শুনলাম!”
তবে তৃণমূলের অন্দরমহলের একাংশের মতে, হুমায়ুনের এই ‘ব্যক্তিগত সৌজন্য’ বার্তা আদতে দলের শৃঙ্খলার বার্তাকে অগ্রাহ্য করার নামান্তর। ফলে এবারও দল তাঁর বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেয় কিনা, সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বছর ঘুরলেই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। শাসকদলের অন্যতম বড় মাথা ব্যথার কারণ নিয়োগ দুর্নীতি। দলের তরফে বারেবারে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়ার প্রশ্নই নেই। নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে পুকুরে মোবাইল ছুড়ে খ্যাত হওয়া জীবনকৃষ্ণ এই নিয়ে দ্বিতীয়বার কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে বন্দি। স্বভাবতই, তাঁর সঙ্গে লকআপে গিয়ে হুমায়ুনের দেখা করে আসার বিষয়টিকে দল কীভাবে দেখছে তা নিয়ে কৌতূহল সব মহলে। না কি ফের দলীয় শৃঙ্খলা ভাঙার অভিযোগে মোড় নেবে এই পর্ব, এখন সেদিকেই তাকিয়ে রাজ্য রাজনীতি।